বাংলা নিউজ > বায়োস্কোপ > ‘ইয়ে কালি কালি আঁখে’ সিরিজের দ্বিতীয় সিজনে দারুণ চমক! জানালেন পরিচালক সিদ্ধার্থ সেনগুপ্ত
পরবর্তী খবর
‘ইয়ে কালি কালি আঁখে’ সিরিজের দ্বিতীয় সিজনে দারুণ চমক! জানালেন পরিচালক সিদ্ধার্থ সেনগুপ্ত
1 মিনিটে পড়ুন Updated: 26 Nov 2024, 10:58 AM ISTSayani Rana
‘ইয়ে কালি কালি আঁখে’-এর পরিচালক সিদ্ধার্থ সেনগুপ্ত শোয়ের দ্বিতীয় সিজনটি কীভাবে প্রথম সিজনের থেকে আলাদা তা নিয়ে কথা বলেছেন।
‘ইয়ে কালি কালি আঁখে’ সিরিজের দ্বিতীয় সিজনে দারুণ চমক! জানালেন পরিচালক সিদ্ধার্থ সেনগুপ্ত
নেটফ্লিক্সের পাল্প ক্রাইম থ্রিলার 'ইয়ে কালি কালি আঁখ-এর দ্বিতীয় সিজন গত শুক্রবার স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পেয়েছে। সিরিজের গল্প মূলত প্রেম, আবেশ এবং মার্ডারকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হবে। হিন্দুস্তান টাইমসের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে সিরিজের পরিচালক সিদ্ধার্থ সেনগুপ্ত জানিয়েছেন যে, কীভাবে তিনি এই সিজনে সেই আবেগকে তুলে ধরেছেন এবং কেন এই শো আবেশকে ভিত্তি করে তৈরি হয়নি।
‘ইয়ে কালি কালি আঁখে’ সিরিজে তাহির রাজ ভাসিন ‘বিক্রান্ত’-এর চরিত্রে অভিনয় করেছেন। প্রথম সিজনে, ‘বিক্রান্ত’ ‘পূর্বা’কে (আঁচল জি সিং) বিয়ে করতে বাধ্য করা হয়, যদিও ‘বিক্রান্ত’ শিখাকে (শ্বেতা ত্রিপাঠী) পছন্দ করত। দ্বিতীয় সিজনে ‘পূর্বা’কে অনুসরণ করা হয় কারণ তাকে হত্যা করার জন্য ভাড়া করা হিটম্যান বিক্রান্তকে অপহরণ করে।
সিদ্ধার্থ সেনগুপ্ত বলেছেন যে দ্বিতীয় সিজনে ‘পূর্বা’-র মানবিক দিকটি তুলে ধরা হয়েছে। তাঁর মতে, ‘প্রথম সিজনে আমরা বিক্রান্তের চোখ দিয়ে প্রতিটি চরিত্রকে দেখেছি। তাই পূর্বা যেমন ছিল তাকে তেমন ভাবেই দেখেছেন দর্শকরা। কিন্তু সে যদি এমন না হয়? শেষ পর্যন্ত, নৈতিকভাবে কে সঠিক বা কে ভুল তা প্রশ্ন নয়। কিন্তু গল্পের শেষ ঠিক হয় যখন আপনি ফিনিশিং লাইন স্পর্শ করেন। তো, এটাই পুরো ধারণা। কিন্তু আমাকে দেখাতে হবে যে তার একটি মানবিক দিকও ছিল।’
তবে বিক্রান্তের ফাঁদে পড়ার অনুভূতি যে সত্যি, তা মেনে নেন পরিচালক। তিনি বলেন, ‘যখন কোনও আবেগ বিশুদ্ধ ও সৎ হয়, তখন তা আরও বিপজ্জনক হয়ে ওঠে। ফলে পূর্বা যে সৎ তা বলাই বাহুল্য। আর তাই এই ব্যাপারটা বিক্রান্তের জন্য আরও বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে।’
প্রতিপক্ষ হিসাবে নির্মিত একটি চরিত্রকে মানবিক করে তোলা চ্যালেঞ্জ রয়েছে পরিচালকের কাঁধে। সিদ্ধার্থ সেনগুপ্তের মতে, ‘এতদিন আমরা পূর্বাকে বিক্রান্তের চোখ দিয়ে দেখেছি। কিন্তু এর পিছনে কি আরও কিছু আছে? সে কি অন্য কেউ হতে পারে?’
সিদ্ধার্থ সেনগুপ্তের মতে ‘আমার মতে একটি চরিত্রের চাহিদা বেশি হয়, অন্য চরিত্রের জন্য, অন্য ব্যক্তির পক্ষে এটি তত বেশি কঠিন হয়ে যায়। যখন টম জেরিকে তাড়া করার জন্য উন্মত্ত হয়, তখন সেই ইঁদুরটিকে তার জীবন বাঁচাতে দৌড়াতে হবে। এখানেও একই অবস্থা।’