বলিউডের সর্বকালীন সুন্দরী অভিনেত্রীদের মধ্যে অন্যতম আশা পারেখ। তাঁর অনুরাগীর সংখ্যা অগুণতি। আশি ছুঁইছুঁই এই অভিনেত্রীর সৌন্দর্য আজও চোখ টানে। অভিনয় দুনিয়াকে আচমকাই বিদায় জানিয়েছিলেন অভিনেত্রী। এক পুরোন সাক্ষাৎকারে সেই নিয়ে খোলসা করেছিলেন আশা পারেখ। তিনি বলেন, তাঁকে এক ছবিতে মায়ের চরিত্রের জন্য অফার দেওয়া হয়েছিল, তাতে খুশি ছিলেন না আশা। তারপর একদিন কল টাইম অনুযায়ী সকালে হাজির হন অভিনেত্রী, তবে নায়ক বেপাত্তা। সকাল থেকে ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করে বিকেলে শটের জন্য পৌঁছায় হিরো। এতে বেজায় অপমানিত বোধ করেছিলেন আশা পারেখ। ‘দিল দেখে দেখো’ (1959) ছবির সঙ্গে অভিনয় সফর শুরু করেন আশা পারেখ। বিপরীতে শাম্মি কাপুরের মতো তারকা। যদিও শিশুশিল্পী হিসাবেও কাজ করেছেন তিনি। পিটিআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আশা পারেখ জানিয়েছিলেন, ‘কাজ আশা কমে গিয়েছিল। লোকজন মায়ের চরিত্র অফার করত। আমি বেশ কয়েকটা ছবিতে কাজও করেছিলাম, তবে খুব আনন্দ পেয়েছি সেগুলো করে তেমনটা নয়। আমি নিজেকেই বুঝিয়ে উঠতে পারেনি যে আমি ঠিক কাজ করছি। আমি সকাল ৯.৩০টার শিফটে গিয়ে বসে আছি, আর হিরো এসে পৌঁছাচ্ছে সন্ধ্যা ৬.৩০টায়। আমি নিতে পারিনি’। তিনি জানান, ‘একটা শট দিতে সারাদিন বসে থাকব, এর মধ্যে দিয়ে আমি যেতে চাইনি। আমি ঠিক করেনি আমি আর কাজ করব না। জীবনের কিছু পরিস্থিতি মেনে নিতে হয়। খুব কঠিন সিদ্ধান্ত ছিল না। আমার বয়স বাড়ছিল, আমি বিষয়টা খুব ভালোভাবেই মেনে নিয়েছিলাম। অমিতাভ বচ্চন জীবনের দ্বিতীয় ইনিংসে ভালো ভালো চরিত্র পেয়েছেন। আমার ক্ষেত্রে তেমনটা হয়নি। যদি পেতাম, নিশ্চিতভাবেই কাজ করতাম’। ‘জব প্যায়ার কিসি সে হোতা হ্যায়’, ‘তিসরি মনজিল’, ‘দো বদন’, ‘কাটি পতঙ্গ', ‘মেয় তুলসি তেরে আঙ্গনকি’র মতো অজস্র হিট বলিউড ছবিতে নায়িকা চরিত্রে দেখা গিয়েছে আশা পারেখকে।