সত্যজিৎ রায়ের 'নায়ক' ছবিটি অনেকেই বড়পর্দায়, কিংবা টিভিতে দেখে থাকবেন। তবে যাঁরা এখনও দেখেননি, তাঁরা আরও একবার এই ছবি দেখার সুযোগ পাবেন, তাও আবার বড় পর্দায়! আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ সালে ফের একবার সিনেমাহলে মুক্তি পাবে এই ছবি। ছবিটি ২কে ভার্সনে (ঝকঝকে) পুনরুদ্ধার করা হয়েছে। আর এই প্রথমবার ইংরেজি সাবটাইটেল সহ ছবিটি দেখানো হবে।
বিখ্যাত মাল্টিপ্লেক্স চেইন পিভিআর সিনেমাস (PVR Cinemas) তাদের অফিসিয়াল সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে এই আইকনিক ক্লাসিকটির পুনরায় মুক্তির খবর জানিয়েছে। আর এবার আর ভাষা কোনও বাধা নয়, কারণ এত বছর পর ইংরেজি সাবটাইটেল সহ ছবিটি পর্দায় আসছে। এর ফলে ছবিটি বাঙালি সিনেপ্রেমী ছাড়াও আরও বেশি দর্শকদের কাছে পৌঁছাবে।
আরও পড়ুন-সমস্যা মেটাতে ফেডারেশনকে ডিরেক্টরস গিল্ডের চিঠি, আলোচনায় কি বসবে দুই পক্ষ?
আরও পড়ুন-'ময়েশ্চারাইজার লাগাই না, ছোট থেকেই শুধু সর্ষের তেল মাখি', কিশোরী প্রতিযোগীকে বললেন অমিতাভ
প্রসঙ্গত ১৯৬৬ সালে মুক্তি পেয়েছিল কিংবদন্তি পরিচালক সত্যজিৎ রায়ের ছবি ‘নায়ক’। বাংলার তো বটেই ভারতীয় ছবির ইতিহাসে অন্যতম আলোচিত সত্যজিৎ-এর এই কাজ। ছবিতে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেন উত্তমকুমার ও শর্মিলা ঠাকুর। এছাড়াও এই ছবিতে ছিলেন বীরেশ্বর সেন, নির্মল ঘোষ, সৌমেন বোস, প্রেমাংশু বোস, এবং সুমিতা সান্যাল-এর মতো অভিনেতা-অভিনেত্রীরা। ছয়ের দশকে মুক্তি পাওয়া এই ছবি ঘিরে শোরগোল পড়েছিল সিনেপ্রেমীদের মধ্যে। সমালোচকরাও ছবিটিকে প্রশংসায় ভরিয়েছিলেন। আর এবার প্রায় ৬ দশক পর এবার ফের একবার বড়পর্দায় আসতে চলেছে সত্যিজিতের নায়ক!
অনেকেই ‘নায়ক’-কে সত্যজিৎ রায়ের সেরা ছবির তালিকাতেও রাখেন। বলেন, ১৯৬২ সালে সত্যজিৎ রায়ের কাঞ্চনজঙ্ঘা ছবির পর, তাঁর পরবর্তী মাস্টারপিস হল নায়ক, যা ছিল তাঁর দ্বিতীয় মৌলিক চিত্রনাট্য।
'নায়ক' হল একজন বিখ্যাত বাঙালি অভিনেতা অরিন্দম মুখোপাধ্য়ায় (উত্তম কুমার) আর একজন কৌতূহলী সাংবাদিক অদিতি সেনগুপ্তের (শর্মিলা ঠাকুর) গল্প। যেটি একটি ট্রেন যাত্রার মধ্য দিয়ে শুরু হয়। যেখানে অরিন্দম জাতীয় পুরস্কার পেতে কলকাতা থেকে দিল্লি যাচ্ছেন। কাকতালীয়ভাবে, তাঁর আসনটি অদিতির পাশে, যে তার সম্পর্কে আরও অনেককিছু জানতে আগ্রহী।
ট্রেন যাত্রা যত এগোচ্ছে, অরিন্দম তাঁর জীবন, অনেক অনুশোচনা এবং নিরাপত্তাহীনতার কথা খুলে বলন। যেগুলি প্রায়শই বাইরে থেকে তাঁকে দেখলে বোঝা যায় না, তাঁর দৃঢ় এবং আত্মবিশ্বাসী ব্যক্তিত্বের কারণে ঢাকা পড়ে যায়। এমনই এক গল্প নিয়ে তৈরি হয়েছে ছবিটি।।
সত্যজিৎ রায় এবং উত্তম কুমার ‘চিড়িয়াখানা’ (১৯৬৭)র মতো অন্যান্য ছবিতে একসাথে কাজ করেছেন, যেখানে কুমার কিংবদন্তি গোয়েন্দা ব্যোমকেশ বক্সীর চরিত্রে অভিনয় করেন।