শেষ মুহূর্তে পরিকল্পনায় বড়সড় পরিবর্তন না হলে পরবর্তী আনলক পর্যায়ে খুলে যেতে চলেছে সিনেমা হল। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক কার্যত ছাড়পত্র দিতে চলেছে সিনেমা হলের দরজা ফের একবার খুলে দেওয়ায়। অগস্ট মাস থেকে শুরু হবে আনলক ৩ পর্যায়। মিডিয়া ও এন্টারটেনমেন্ট ইন্ডাস্ট্রির বিশেষজ্ঞদের মতে ইতিমধ্যে তথ্য ও সম্প্রচারক মন্ত্রকের তরফে চিঠি গিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে। সেখানে সিনেমা হল খোলার সিদ্ধান্তের কথা বিবেচনার আর্জি জানানো হয়েছে। মার্চ মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে দেশজুড়ে তালাবন্ধ সিনেমা হল। লকডাউন শুরুর সপ্তাহখানেক আগে থেকেই বন্ধ করে দেওয়া হয় থিয়েটারগুলি।
'আমার আশাবাদী যে অগস্টের শুরুতে আমরা অনুমতি পাব সিনেমাহল খোলবার এবং গোটা দেশে সেপ্টেম্বরের মধ্যেই স্বাভাবিক ছন্দে সিনেমাহল গুলো চলতে শুরু করবে', পিভিআর সিনেমার সিইও গৌতম দত্ত জানিয়েছেন মিন্টকে।
মাল্টিপ্লেক্স অ্যাসোশিয়েশন অফ ইন্ডিয়ায়র ডিরেক্টর দেবাং সম্পত জানিয়েছেন সবরকম নথি এবং এসওপি (স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রোসিডিউর) ইতিমধ্যেই তৈরি হয়ে গিয়েছে যাতে অনুমতি মিললে আনলক ৩-এ সিনেমাহল আবার খোলা সম্ভবপর হয়। তবে বিষয়টি পর্যালোচনা করতে হবে। কারণ বিহার, তামিল নাড়ুর মতো রাজ্যে এখন লকডাউন চলছে। অন্যদিকে ভারতের বিনোদুনিয়ার প্রাণকেন্দ্র মহারাষ্ট্রের প্রতিদিন সবচেয়ে বেশি হারে করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন মানুষ।
সব থিয়েটার খুললে সেখানে যাতে সুরক্ষা এবং হাইজিন প্রোটোকলের সবরকম ব্যবস্থা করা হয় সেব্যাপারে খেয়াল রাখছে মাল্টিপ্লেক্স চেনগুলি। কোনওরকমের স্পর্শ ছাড়াই যাতে টিকিট কাটতে পারেন দর্শক তাঁর ব্যবস্থা থাকছে। শুধুমাত্র কিউআর কোড স্ক্যান করেই টিকিট টাকা কিংবা খাবার কেনা যাবে। একমাত্র ব্যতিক্রমী ক্ষেত্রেই নগদে লেনদেন করা হবে। না হলে ক্যাশলেস পেমেন্টেই উত্সাহ দিচ্ছে মাল্টিপ্লেক্সগুলো। হাতে কোনওরকম টিকিট দেওয়া হবে না।

থিয়েটারে কোনওরকম ফিজিক্যাল চেকিংয়ের ব্যবস্থাও তুলে দেওয়া হবে। প্রবেশদ্বারে থাকবে সেন্সর,সেখানেই দেহের তাপমাত্রাও মাপা হবে। তাপমাত্র সঠিক না হলে দর্শক হলে ঢুকতে পারবেন না। পাশাপাশি দর্শকাসনের পঞ্চাশ শতাংশ সিটের টিকিটই বিক্রি করা হবে, যাতে ভিড় এড়ানো যায় এবং সমাজিক দূরত্ব বজায় রাখা যায়।
করোনা সংকটে চারমাস সিনেমা হল বন্ধ, ইতিমধ্যেই প্রায় ১০০০ কোটি টাকা লোকসানের মুখে বলিউড। সরাসরি ওটিটি প্ল্যাটফর্মকেও অনেকেই ছবি মুক্তির পথ হিসাবে বেছে নিয়েছেন। কম ও মাঝারি বাজেটের ছবিগুলি ওটিটি প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পেলেও, বিগ বাজেট কমার্শিয়াল ছবির জন্য থিয়েটার খোলবার অপেক্ষা করা ছাড়া অপর কোনও রাস্তা খোলা নেই। সেই কারণেই গুলাবো সিতাবো, শকুন্তলা দেবী,কিংবা সড়ক টু, গুঞ্জন সাক্সেনার মতো ছবি বিভিন্ন ওটিটি প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পেলেও সিনেমা হল খোলবার অপেক্ষায় দিনগুনছে টিম সূর্যবংশী, ৮৩, রাধে: ইয়োর মোস্ট ওয়ান্টেড ভাই।