গত ৮ আগস্ট আইনি জটিলতা কাটিয়ে মুক্তি পেয়েছে ‘উদয়পুর ফাইলস’। কিন্তু মুক্তি পেতেই বিপাকে পড়েছেন প্রযোজক। একের পর এক হুমকির ফোন আসছে শুরু করেছে তাঁর কাছে।
‘উদয়পুর ফাইলস’ মুক্তি পেতেই বিপাকে প্রযোজক!
দীর্ঘদিনের আইনি জটিলতা কাটিয়ে অবশেষে গত ৮ আগস্ট বড় পর্দায় মুক্তি পেয়েছে উদয়পুর ফাইলস। কিন্তু মুক্তির পরে সেই জটিলতা বৃদ্ধি হল শতগুণ। ছবি মুক্তির পরেই একের পর এক প্রাণহানির হুমকি পেতে শুরু করেছেন ছবির প্রযোজক অমিত জানি।
শনিবার ছবির প্রযোজক X হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করে লেখেন, বিহারের নিবাসী তাবরেজ নামের এক ব্যক্তি। সমানে তাঁকে ফোন করে হুমকি দিচ্ছেন। এমনকি তাঁকে গুলি মেরে অথবা বাড়িতে বোমা মারার হুমকি দিচ্ছেন ওই ব্যক্তি। পোস্ট করে প্রযোজক উত্তর প্রদেশ সরকার এবং পুলিশকে ট্যাগ করে নিজের সমস্যার কথা জানান।
পোস্ট ভাইরাল হতেই শুরু হয়েছে চাপান্তর। ইতিমধ্যেই প্রযোজককে ওয়াই ক্যাটাগরির নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। নয়ডা প্রশাসনের কাছে অমিত অনুরোধ জানিয়েছেন যাতে অবিলম্বে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হয় প্রশাসনের তরফ থেকে।
কেন এই হুমকির বার্তা?
মনে করা হচ্ছে, ছবিটি বন্ধ করার জন্যই বারবার প্রযোজককে এমন হুমকি দেওয়া হচ্ছে। ছবির নাম এবং ছবির গল্প আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করার পর থেকেই বিভিন্ন সমস্যার মুখে পড়তে হয়েছিল অমিতকে। পরে অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে ছবিটি মুক্তি পেল বটে, তবে বিপদ যেন অমিতের পিছু ছাড়লো না।
উল্লেখ্য, ছবিটি মুক্তির পর প্রয়াত দর্জির দুই ছেলেকে উদয়পুরের সিনেমা হলে সাদরে অভ্যর্থনা জানানো হয়েছিল। সিনেমা হলে নিহত দর্জির ছবি মাঝখানে রেখে তার দুই পাশে দুটি আসন সংরক্ষিত করে রাখা হয়েছিল দুই ছেলের জন্য। ছবিতে বাবার মৃত্যুর দৃশ্য দেখে আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন দুই ছেলে।
‘উদয়পুর ফাইলস’ ছবিতে উদয়পুরের দর্জি কানহাইয়া লালের হত্যার ঘটনা দেখানো হয়েছে যাকে দুই ব্যক্তি প্রকাশ্য দিবালোকে নির্মমভাবে হত্যা করেছিল। প্রাক্তন বিজেপি মুখপাত্র নুপুর শর্মার সমর্থনে একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট শেয়ার করার অপরাধে খুন করা হয় তাঁকে। ছবিটি পরিচালনা করেছেন ভারত এস শ্রীনাথ এবং জয়ন্ত সিনহা। প্রযোজনা করেছেন অমিত জানি।