তাঁর নামে বাঘে আর গোরুতে নাকি এক ঘাটে জল খায়! থরহরি কম্প হয় পাপারাৎজিরা। এমন দাপট যে, পরিবারের সদস্যরাও সামলে চলেন! আজ তাঁর জন্মদিন। পা রাখলেন আজ ৭৭ বছরে। এতক্ষণে নিশ্চয়ই বুঝে গিয়েছেন কার এই ফোটোখানি!
ফোটোর এই মেয়েটি জয়া বচ্চনের। মেয়ে শ্বেতা বচ্চন একসময় এনসিসি-র পোশাকে মায়ের এই ছবিখানা শেয়ার করে নেন সোশ্যাল মিডিয়াতে। সঙ্গে লিখেছিলেন, ‘মা, তুমি যেন সবসময় এমনভাবে হাস, যেন তুমি সেরা এনসিসি ক্যাডেট হয়েছ। অথবা যেন তোমার সামনে কাঁকড়ার বিশাল থালা রাখা আছে, যা তুমি খাবে।’ আর এতে আবার সেই সময় মন্তব্য করে অমিতাভ লিখেছিলেন, ‘আমিও সহমত’।
আরও পড়ুন: ব্রেক ফেল নয়, ইচ্ছাকৃত ভাবে পথচারীকে ধাক্কা পরিচালক ভিক্টোর! সামনে এল CCTV ফুটেজ
১৯৭৩ সাল থেকে ২০২৩, দাম্পত্যজীবনের লম্বা ইনিংস অমিতাভ ও জয়ার। মেয়ে শ্বেতা ও ছেলে অভিষেককে নিয়ে ভরা সংসার। তবে শোনা যায়, একসময় এই গোছানো সংসারই টালমাটাল হয়েছিল, যখন অমিতাভ ও রেখার প্রেম-চর্চায় সরগরম হয়েছিল বলিপাড়া। কানাঘুষো চলছিল, জয়াকে ছেড়ে রেখার প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছেন বিগ বি।
আরও পড়ুন: শ্রুতির কোলের খুদে কিন্তু খাদানেও ছিল! দেবের ছবির কোন চরিত্রে ছিল মনে করতে পারলেন?
উভয়ের প্রেমের গল্প সিনেমার সেটে শুরু হয় এবং তারপর 'সিলসিলা' সিনেমাতেই দুজনে একসঙ্গে শেষবার স্ক্রিন শেয়ার করেন। শোনা যায়, জয়ার মাধ্যমেই অমিতাভের সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল রেখার। জয়ার ঘনিষ্ঠ বান্ধবী ছিলেন নাকি রেখা। একই আবাসনে থাকতেন। এমনকী জয়াকে ডাকতেন ‘দিদিভাই’।
আরও পড়ুন: টিআরপি বেহাল, বারবার স্লট বদল, ১০ মাসে শেষ হচ্ছে জি বংলার এই মেগা? পড়ল মাথায় হাত
সম্প্রতি প্রবীণ লেখক এবং চলচ্চিত্র ইতিহাসবিদ হানিফ জাভেরি দাবি করেন যে, ‘দো আনজানে’ ছবির শুটিংয়ের সময় রেখা এবং অমিতাভ নাকি প্রেম করছিলেন। হানিফ জাভেরির মতে, সবটা জানতে পারার পর, যখন কিছু সময়ের জন্য অমিতাভ ছিলেন না শহরে, রেখাকে নিমন্ত্রণ করেন জয়া। দুপুরের খাওয়ার খাওয়ান। বাড়ির বাগান দেখান, গল্প করেন, এবং বিদায় নেওয়ার সময় সরাসরি রেখার দিতে তাকিয়ে বলেছিলেন, ‘অমিতাভ আমার। সে আমারই ছিল, আর আমারই থাকবে’। এরপরই নাকি নিজেকে গুটিয়ে নেন রেখা।