২৮ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার 'নিম ফুলের মধু' মেগার শেষদিনের শ্যুটিং ছিল। ওইদিন শেষ পর্বের শ্যুটিংয়ের পাশাপাশি হয়েছিল কব্জি ডুবিয়ে ভুরিভোজও। তারপর মাঝে জি বাংলা সোনার সংসার অনুষ্ঠানেও এই মেগার কলাকুশলীদের একসঙ্গে নজরকাড়তে দেখা গিয়েছিল। আর এবার মেগা শেষ হওয়ার দেড় মাসের মাথায় হল 'দত্ত বাড়ি'র রিইউনিয়ন। সঙ্গে চলল জমিয়ে খাওয়া-দাওয়া। কে কে হাজির ছিলেন এদিনের সিন্ধ্যায়?
বুধবার দত্ত বাড়ির বড় বউ ওরফে অভিনেত্রী তনুশ্রী গোস্বামী একটি ভ্লগ শেয়ার করেছেন। সেখানেই এই রিইউনিয়নের ঝলক দেখা গিয়েছে। ভিডিয়োটি শেয়ার করে অভিনেত্রী ক্যাপশনে লেখেন, ‘বাচ্চুদার বাড়ি খুব আনন্দ করলাম...’। বাচ্চুদা অর্থাৎ পর্দার 'পর্ণা'র ‘ধ্যাষ্টা জেঠু’ সুব্রত গুহরায়।'
আরও পড়ুন: পর্দার ‘সৌদামিনী’কে মনে পড়ে? কোথায় হারিয়ে গেল সুস্মিলি? তিনি কি আর ফিরবেন মেগায়?
এদিন লাল কালো শাড়িতে নজর কেড়েছিলেন অভিনেত্রী। তাঁর গাড়ি করে তিনি এবং 'বাবুর মা' অরিজিতা মুখোপাধ্যায় এদিন সুব্রত গুহরায়ের বাড়িতে হাজির হয়েছিলেন। অরিজিতার পরনে ছিল আকাশি পাড় সাদা শাড়ি। অন্যদিকে, সুব্রত গুহরায় একেবারে ঘরোয়া পোশাকে ধরা দিয়েছিলেন। এদিনের হাউজ পার্টিতে হাজির ছিলেন মেগার নায়িকা 'পর্ণা' অর্থাৎ পল্লবী শর্মা। তিনিও শাড়িতেই নজর কেড়েছিলেন। চকচকে আকাশি রঙের শাড়ি ও লাল স্লিভলেস ব্লাউজে বেশ মিষ্টি দেখাচ্ছিল নায়িকাকে। তবে এই সন্ধ্যায় দেখা মেলেনি পর্দার 'সৃজন' রুবেল দাসের।
তাছাড়াও এদিন দত্তবাড়ির দুষ্টু ছেলে ‘অয়ন দত্ত’ মানে অভিনেতা উজ্জ্বল মালাকার তাঁর স্ত্রী শুভান্নিতাকে নিয়ে হাজির হয়েছিলেন। কালো পাঞ্জাবি ও পাজামায় নজর কেড়েছিলেন উজ্জ্বল। অন্যদিকে শুভান্নিতার পরনে ছিল মেরুন রঙের পোশাক। তাছাড়াও তাঁদের মেয়েও ছিল তাঁদের সঙ্গে। তাছাড়াও এসেছিলেন 'সৃজনের বাবা' অভিনেতা অর্ঘ্য মুখোপাধ্যায়। তাঁকে লাল টি-শার্টে দেখা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: মাদকাসক্ত হয়ে অভিনেত্রীর সঙ্গে অভব্য আচরণ অভিনেতার! 'জোর করে আমার পোশাক…', বিস্ফোরক নায়িকা
এদিন সন্ধ্যায় কেকও কাটেন তাঁরা সকলে মিলে। সেই কেকের উপর আবার বড় বড় করে ইংরেজিতে 'দত্ত বাড়ি' লেখা ছিল। এই হোমমেড কেকটির আয়োজন করেছিলেন অরিজিতা ও তনুশ্রী। তনুশ্রীর গাড়িতে ওঠার সময় অরিজিতাকে এই কেকটি আনতে দেখা গিয়েছিল। তবে শুধু কেক না, এদিনের পার্টিতে ভুঁড়ি ভোজেরও দারুণ আয়োজন ছিল। মেনুতে ছিল বাসন্তী পোলাও, মাটন কিমা, চিকেন, চাটনি সঙ্গে শেষ পাতে মিষ্টি মুখের জন্য ছিল পায়েস। এই সমস্ত রান্নাই করেছিলেন সুব্রত গুহরায়ের স্ত্রী পিয়ালি। সবাই তাঁর রান্নার দারুণ প্রশংসাও করেন। সবাইকে বেশ কব্জি ডুবিয়ে খেতে দেখা যায়।