পরিবারের সঙ্গে বেঁধে বেঁধে থাকার মনে ছুঁয়ে যাওয়া বার্তা নিয়ে পর্দায় মুক্তি পেয়েছে রাস। কিন্তু ছবি মুক্তির আগে থেকে বহু দর্শক এমন একটি ছবি নন্দনের মতো হলে দেখবেন ভেবে আশা করে রেখেছিলেন। তারপর ৬ জুন ছবিটি মুক্তি পেলে দেখা যায় নন্দনে কোনও শো পায়নি। আর তা নিয়ে খুব স্বাভাবিক ভাবেই এই নিয়ে প্রশ্ন তোলেন দর্শকরা। এই নিয়ে তাঁরা পরিচালক তথা নির্মাতাদেরও যথেষ্ট প্রশ্ন করে। তবে এবার খবর এই ছবি নাকি নন্দন বা রাধাতে মুক্তি পাবে না। ছবির পরিচালক তথাগত মুখোপাধ্যায় নিজেই সামজমাধ্যমের পাতায় অনুরাগীদের উদ্দেশ্যে এই তথ্যটি ভাগ করে নেন।
আরও পড়ুন: শাহরুখের স্বদেশ ‘খুবই বিরক্তিকর’! একথা বলতেই আমিরকে ধুয়ে দিলেন শাহরুখ ভক্তরা
তথাগত মুখোপাধ্যায়ের পোস্টে কী দেখা গিয়েছে?
বৃহস্পতিবার তথাগত সমাজ মাধ্যমের পাতায় তাঁর অনুরাগীদের উদ্দেশ্যে লেখেন, ‘নন্দন রিভিউ কমিটির মতামত অনুযায়ী ‘রাস’ নন্দন বা রাধাতে প্রর্দশনযোগ্য নয়।আপনারা যারা অপেক্ষা করেছিলেন, চেষ্টা করুনা ‘রাস’ শহরের অন্য সিনেমাহলে দেখে নিতে। আমরা মর্মাহত।' পরিচালকের এই পোস্টটি অভিনেতা বিক্রম চট্টোপাধ্যায়ও তাঁর পেজ থেকে শেয়ার করে নেন। ক্যাপশনে একটি ভাঙা হার্ট ইমোজি ও একটি জোড় হাতের ইমোজি দেন।
আরও পড়ুন: 'কৃষ ৪'- এ ক্যামিও করবেন জ্যাকসন ওয়াং? হৃতিককের সঙ্গে ছবি প্রকাশ্যে আসতেই শুরু গুঞ্জন
পরিচালকের এই পোস্ট দেখে নেটিজেনরাও নানা মন্তব্যে ভরে দিয়েছেন। এমনকী 'তোর্ষা একটি নদীর নাম' খ্যাত পরিচালক কৃষ্ণেন্দু ষান্নিগ্রাহীও মন্তব্য করেন। তিনি লেখেন, ‘বলতে বাধ্য হচ্ছি, ওইটি একটি ফালতু কমিটি! আমার প্রথম সিনেমা ‘তোর্ষা একটি নদীর নাম’কে ওঁরা আপ টু দ্যা মার্ক নয় বলেছেন! আমার সিনেমাটি, দেশ-বিদেশের বহু পুরস্কার জিতেছে। অনেক মানুষ ওই সিনেমাটিকে শিশু মনস্তত্ত্বের জন্য গঠনমূলক সিনেমা বলেছেন! তথাগত তুমি বরাবরই প্রথাগত সিনেমার বাইরে গিয়ে দুর্দান্ত সব কনসেপ্ট নিয়ে আসো। যাঁরা তোমার এই সিনেমাটিকে নন্দনে প্রদর্শন করা যাবেন না বলেছেন, আসলে সেই কমিটিতে যাঁরা রয়েছেন তাঁরা কি তোমার মত সিনেমা কখনও বানাতে পেরেছেন! আমি অবশ্যই, ব্যক্তিগত ভাবে চিনি বা তোমার বন্ধু হিসেবে এই কথাগুলো বললাম না! তোমার একজন মুগ্ধ দর্শক হিসাবে, অবশ্যই পরিচালক হিসেবে তোমার কলিগ হিসেবে তোমার পাশে দাঁড়িয়ে, যাঁরা তোমার মত অন্য ধারার ভালো বাংলা ছবি করতে চান, তাঁদের হয়েই এই কথাটা বললাম।'
প্রসঙ্গত, বাঙালির সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, যৌথ বাঙালি পরিবারের আভ্যন্তরীন ওঠাপড়া আর ভালোবাসার গল্প বলেছে 'রাস'। গল্প মাণিকপুরের চক্রবর্তী বাড়ি কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়েছে। দেশের বাড়িতে কাছের মানুষদের সঙ্গে অনেক দিন পর সোমনাথের জীবন কীভাবে জড়িয়ে যাবে তা ফুটে উঠেছে ‘রাস’-এ।