বাংলা নিউজ > বায়োস্কোপ > Sudip Mukherjee's Daughter:বেণীর সঙ্গে ডিভোর্স, ২৬ বছরের ছোট পৃথাকে বিয়ে! প্রথমপক্ষের মেয়ের সঙ্গে কেমন সম্পর্ক সুদীপের?
পরবর্তী খবর
পারস্পরিক সম্মান বজায় রাখতেই বেণী বসুর সঙ্গে প্রথম বিয়ে ভেঙে দেন অভিনেতা সুদীপ মুখোপাধ্যায়। ৮ বছরের দাম্পত্য ভেঙে বেরিয়ে আসা সহজ ছিল না, কারণ তাঁদের মেয়ের বয়স তখন সবে ৭ বছর! ২০১৩ সালে দাম্পত্য সম্পর্কে ইতি টেনেছিলেন দুজনে। কাদা ছোঁড়াছুড়ি করেননি।
একা হাতে মেয়েকে মানুষ করেছেন বেণী। কিন্তু সুদীপ নতুন সংসার পেতেছেন। ডিভোর্সের ২ বছর পর ২০১৫ সালে ২৬ বছরের ছোট পৃথাকে বিয়ে করেন অভিনেতা। দুজনের প্রথম দেখা থেকে বিয়ে প্রসঙ্গে সম্প্রতি মুখ খুলেছেন ‘শ্রীময়ী’ খ্যাত অভিনেতা। নিবেদিতা অনলাইনকে তিনি বলেন, ‘পৃথা নাচ করত, ওর সঙ্গে আমার আলাপ একটা নাচের অনুষ্ঠানে। সেখানেই আলাপ, এরপর আমাকে ফেসবুকে ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট পাঠায়। তারপর ধীরে ধীরে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে আমাদের বয়সের ফারাক সত্ত্বেও। তারপর বিয়ের পর ১০ বছর কেটে গিয়েছে। আমাদের দুই ছেলে, একজনের ৮ বছর, একজনের ৬ বছর’।
দুই ছেলে, চারপেয়ে পোষ্য আর পৃথাকে ঘিরেই এখন সুদীপের গোটা জীবন। তবে প্রাক্তন স্ত্রীর সঙ্গে সৌহার্য বজায় রেখেছেন। তাঁর কন্যা সন্তান চিনি সম্প্রতি ১৮ পূর্ণ করল। মায়ের কাছেই থাকে মেয়ে, মাঝেমধ্যে বাবার সঙ্গে সাক্ষাৎ। গত সপ্তাহেই মেয়ের জন্মদিনে আবেগঘন বার্তা পোস্ট করেছিলেন সুদীপ। মেয়েকে নিয়ে তিনি লেখেন, ‘১৮ বছর….যৌবনে পা দিলে, স্বাগত জানাই তোমায়… কিন্তু আমার কাছে সেই ছোট্ট পুঁচকেই থাকবি, যাকে প্রথমবার কোলে নিয়েছিলাম…. পিতৃত্ব কী সেটা তোর কাছেই প্রথম শেখা… আমার ভালোবাসা, আমার বিশেষ মানুষ… সবসময় তোকে ভালোবাসি…’।
দুই ছেলে ঋদ্ধি আর বালির সঙ্গে সুদীপের প্রথমপক্ষের সন্তান চিনির মিষ্টি সম্পর্ক। জন্মদিনে দুই ভাইকে নিজের হাতে খাইয়ে দিতে দেখা গেছে চিনিকে।
আরও পড়ুন-‘১৪ তলা নিপাত যাক’, তন্ময়ের স্পর্শকে ক্লিনচিট দিয়ে চর্চায়, মমতাকে কটাক্ষ শ্রীলেখার
নিবেদিতা অনলাইনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বেণী বসুর সঙ্গে ডিভোর্স প্রসঙ্গে সুদীপ বলেন, ‘আজ মানুষ নিজের মতো করে স্বাধীন। বিশেষ করে যদি সে জানে, তার পায়ের তলার মাটি শক্ত। মা-বাবার যে ঝগড়াটা কদিন পর শান্ত হয়ে যেত, এখন এটাই বাড়তে বাড়তে চূড়ান্ত হয়ে যায়। আমি আর বেণী ওই কারণে আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। আমরা ভয় পেতাম বেশিদিন একসঙ্গে থাকলে ওই পারস্পরিক সম্পর্কটা ক্ষতি হবে। মেয়ের উপর খারাপ প্রভাব পড়বে। কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি চাইনি আমরা কখনো। সেটা এখনও আছে। আমি ওকে সম্মান করি, কারণ ও আমার মেয়ের মা।’