সম্প্রতি ফেডারেশনের খাঁড়ার ঘা নেমে এসেছে অনির্বাণ ভট্টাচার্য সহ একাধিক পরিচালকের উপর। যদিও কলকাতা হাইকোর্ট পাশে রয়েছে পরিচালকদেরই, তবুও তার মধ্যেই স্বরূপ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে করা মামলা থেকে নাম প্রত্যাহার করলেন মানসী সিনহা সহ আরও ২ পরিচালক। এরপরই বিস্ফোরক একটি পোস্ট করতে দেখা যায় খাদান ছবির পরিচালক সুজিত দত্তকে।
আরও পড়ুন: LOC-র কাছে কাশ্মীরের এই পাসটা এক বলি অভিনেত্রীর নামে, দেশের জন্য কী করেছিলেন সেই সুপারস্টার?
কী ঘটেছে?
এদিন সুজিত দত্ত সোশ্যাল মিডিয়ায় কারও নাম না করেই একের পর এক পরিচালক যে স্বরূপ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে করা মামলা থেকে নাম প্রত্যাহার করছেন সেই বিষয়ে একটি পোস্ট করেন। জানান তিনি জানতেন এমনটা হবেই, তাই স্বাক্ষর করেননি তখন এই মামলায়।
সুজিত তাঁর পোস্টে লেখেন, 'স্বরূপ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা থেকে অলরেডি পিছু হটা শুরু করেছে কয়েকজন। এটাই যে একদিন ঘটবে আমি জানতাম বলেই স্বাক্ষর করিনি। ফ্রিল্যান্সিং সিনেমা জগৎ, সঙ্গে ঘোর অনিশ্চয়তা, তার ওপর কার মেরুদন্ডের কতটা জোর, সবটা সম্বন্ধেই আমার ধারনা আছে কিছু।' তিনি এদিন আরও লেখেন, 'তবে এখানেও একটা ডিসক্লেইমার রয়েছে, ব্যতিক্রম অবশ্যই আছে, সর্বত্রই থাকে এখানেও আছে, আবার মুরগিও থাকে থুড়ি হয় কেউ কেউ।'
এই বিষয়ে জানিয়ে রাখা ভালো, গত বছর সুরক্ষা বন্ধু কমিটি তৈরি করার সময় স্বরূপ বিশ্বাস বলেছিলেন টলিউডে যত যৌন হেনস্থার অভিযোগ ওঠে তার ৪০ শতাংশ পরিচালকদের বিরুদ্ধে আর বাকি ৬০ শতাংশ অভিযোগ পরিচালক বা পরিচালক থেকে প্রযোজক হয়েছেন এমন ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে। এরপরই ২৩৩ জন পরিচালক স্বরূপ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে ২৩ কোটি টাকার মামলা করেন। আগেই এই মামলা থেকে রাহুল মুখোপাধ্যায় নিজের নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। এরপর সম্প্রতি মানসী সিনহা সহ সোমেন হালদার, শ্রীজিত রায়ও নিজেদের নাম প্রত্যাহার করলেন। আর তারপরই এই পোস্ট করেন সুজিত। বলাই বাহুল্য তিনি কারও নাম না করলেও কোন দিকে ইঙ্গিত করেছেন সেটা বুঝতে কারও বাকি নেই।
আরও পড়ুন: ঘৃণা 'ভোটের মতোই পণ্য'! জন্মদিনের পরই ঋদ্ধি কেন লিখলেন, ‘পৃথিবীর সব ট্রোলতান্ত্রিক রাষ্ট্রের…’
এই বিষয়ে এও জানিয়ে রাখা ভালো, ফেডারেশনের বিরুদ্ধে যে একের পর এক পরিচালককে কাজ না করতে দেওয়ার অভিযোগে উঠেছে, সেই মামলায় গত সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে টলিউডে কেউ যদি স্বাধীন ভাবে কাজ করতে চান তাঁর কাজে বাঁধা দেওয়া যাবে না। কোনও সংগঠন কখনই কারও জীবিকা না ব্যবসা বন্ধ করতে পারে না, সেই অধিকার তাদের নেই। শুধু তাই নয়, এদিন কলকাতা হাইকোর্টের তরফে রাজ্যের তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের সচিবকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে কোনও সংগঠন যাতে কারও কাজ বন্ধ না করে সেটা নিশ্চিত করবে। এতেও যদি সমস্যার সমাধান না হয় তাহলে পরিচালকরা পুলিশের সাহায্য নিতে পারবেন বলেও জানিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।