সম্প্রতি পালিত হল মহম্মদ রফির জন্ম শতবর্ষ। গত ২৪ অগস্ট ছিল এই লিজেন্ডারি গায়কের জন্মবার্ষিকী। আর সেই উপলক্ষ্যে এদিন একটি কনসার্টে তাঁকে তাঁর গাওয়া গানে গানেই শ্রদ্ধা জানালেন সোনু নিগম। এ যেন গঙ্গা জলে গঙ্গা পুজো।
আরও পড়ুন: মধুমিতাকে চোখে হারাচ্ছেন দেবমাল্য! জুটি বেঁধে 'সেরা ক্রিসমাস ইভ' কাটালেন কীভাবে?
মহম্মদ রফির জন্মবার্ষিকীতে শ্রদ্ধার্ঘ সোনু নিগমের
এদিন একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে যেখানে দেখা যাচ্ছে সোনু নিগম কৌন হ্যায় জো স্বপ্ন ম্যায় আয়া গানটি গাইছেন। মুম্বইয়ে বসেছিল এই গানের আসর। আর সেই ভিডিয়োর ক্যাপশনে এদিন লেখা হয়, 'মুম্বইয়ে সঙ্গীত প্রেমীদের মুগ্ধ করলেন সোনু নিগম। এদিন তিনি মহম্মদ রফির ১০০ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ৫০ টি গান গেয়ে তাক লাগান। গানে গানে শ্রদ্ধা জানান মহম্মদ রফিকে।'
এদিন কনসার্টে হাজির ছিলেন মহম্মদ রফির ছেলে শহিদ রফি এবং বউমা ফিরদৌস রফি। তাঁদের সঙ্গে মঞ্চে কথা বলার সময় সোনু বলেন, 'শহিদ ভাইয়ের সঙ্গে রফি সাহেবের রক্তের সম্পর্ক। আর আমার সঙ্গে ভক্তের সম্পর্ক।' এদিন কনসার্টে ৫০ জন মিউজিসিয়ান ছিলেন। মুকেশ আম্বানি কালচারাল সেন্টার গ্র্যান্ড থিয়েটারে গানের আসর বসেছিল।
মহম্মদ রফির জন্ম শতবর্ষ উপলক্ষ্যে
১৯২৪ সালের ২৪ ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ করেন মহম্মদ রফি। ১৯২৪ সালের ২৪ ডিসেম্বর ব্রিটিশ ভারতের পাঞ্জাবে জন্মগ্রহণ করেছিলেন তিনি। তাঁর গ্রামে এক ফকিরের গানকে অনুকরণ করে তিনি প্রথম গান গাওয়া শুরু করেন। আর তারপর সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তিনি হয়ে ওঠেন বহু শ্রোতার পছন্দের গায়ক। উস্তাদ বড়ে গোলাম আলি খান, উস্তাদ আব্দুল ওয়াহিদ খান, পণ্ডিত জীবনলাল মত্তো এবং ফিরোজ নিজামী'র মতো প্রথিতযশা শিল্পীদের কাছ থেকে ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতে তালিম নেন। তাঁর গাওয়া শেষ গানটি ছিল তু কাহি আস পাশ হ্যায় দোস্ত। আর তাঁর গাওয়া প্রথম গানটি ছিল একটি পঞ্জাবি ছবি গুল বালোচের জন্য। সেখানে তিনি গোরিয়ে নি হিরিয়ে নি গানটি গেয়েছিলেন। এরপর তিনি একের পর এক হিট উপহার দিয়েছেন। তালিকায় আছে লিখে জো খত তুঝে, এহসান তেরা হোগা মুঝ পর, দরদে দিল দরদে জিগর, আজ মৌসম বড়া বেঈমান হ্যায়, ইত্যাদির মতো জনপ্রিয় গান।
২৩ বার তিনি ফিল্মফেয়ার পদকের জন্য মনোনয়ন পান, যা ভারতীয় ছবির ক্ষেত্রে একটি বড় রেকর্ড। তাঁর মধ্যে তিনি ৬ বার এই সম্মানে ভূষিত হন। ১৯৪৮ সালে প্রধানমন্ত্রী জওহর লাল নেহরু'র কাছ থেকে ভারতের ১ম স্বাধীনতা দিবসে রৌপ্য পদক গ্রহণ করেছিলেন তিনি। ১৯৬৭ সালে পদ্মশ্রী পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৭৪ সালে ‘তেরী গালিও ম্যা না রাখেঙ্গে কদম' গানের জন্য ফিল্ম ওয়ার্ল্ড ম্যাগাজিনের পক্ষ থেকে সেরা গায়কের পুরস্কার লাভ করেন। এছাড়াও একাধিক পদক এবং পুরস্কার আছে তাঁর দখলে।