ছেলেমেয়ের কাছে তাঁর সন্তানের বড় হয়ে ওঠার জার্নি, বরাবরই আবেগের। নিজের শরীরেরই একটা অংশ, যখন ধীরে ধীরে বড় হয়ে ওঠে, তখন ভালোলাগায় মন ভরে থাকে প্রতিটা মায়ের। অভিনেত্রী, সঞ্চালিকা সুদীপা চট্টোপাধ্যায়ের পোস্টেও ধরা পড়ল সেরকমই ইমোশন। ছেলে আদিদেব চট্টোপাধ্যায়ের ক্লাস ওয়ান থেকে ক্লাস টু-তে উঠতেই, মিষ্টি একটা পোস্ট করলেন সোশ্যাল মিডিয়াতে।
আদির ক্লাস টিচারের সঙ্গে ছবি শেয়ার করে সুদীপা লিখলেন, ‘আদিদেবের প্রিয় শিক্ষিকার সঙ্গে ওর শেষ ছবি- ও এখন গেল ক্লাস ২-তে। আমরা আপনাকে মিস করব সাইমন স্যার। আদি এদিন খুব কেঁদেছে, যেহেতু ও আর সাইমন স্যারের ক্লাস করতে পরবে না।’
আরও পড়ুন: অগ্রিম বুকিংয়ে ভিকির ছাবা’র থেকে পিছিয়ে সলমনের সিকন্দর! কত কোটির অগ্রিম বুকিং হল
এরপর ছেলের প্রিয় স্যারের উদ্দেশে আরও লেখেন, ‘আমাদের শুভেচ্ছা আর প্রার্থণা সবসময় আপনার সঙ্গে থাকবে স্যার। ধন্যবাদ ওর পাশে থাকার জন্য, যখনই আদির প্রয়োজন হয়েছে, ঠিক তখনই আপনার নিঃসার্থ ভালোবাসা ও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য।’
আরও পড়ুন: দিদির মঞ্চে ফাঁস হল মিশমি ও ঐশ্বর্যর প্রেমের খবর! হাটে হাঁড়ি ভাঙলেন রচনা?
বেহালার সেন্ট জেমস স্কুলের ছাত্র আদিদেব। ১৫০ বছরের পুরনো, তিলোত্তমার অন্যতম প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী স্কুলের মধ্যে অন্যতম হল সেন্ট জেমস স্কুলটি। সিআইএসসিই বোর্ডের এই স্কুলটিতে নার্সারি থেকে ক্লাস টুয়েলভথ অবধি পড়তে পাড়েন পড়ুয়ারা। তবে স্কুলটি শুধুমাত্র ছেলেদের।
আরও পড়ুন: বক্স অফিসে ১০০ দিন পার খাদানের, কেক কেটে উদযাপনের পর দেব বললেন, ‘যে স্বপ্ন নিয়ে চলা শুরু করেছিলাম…’
তা কীরকম খরচ সেন্ট জেমস স্কুলে লেখাপড়া করার? স্কুলের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে এই নিয়ে কোনো তথ্য না মিললেও, schoolsuniverse.com ওয়েবসাইট অনুসারে, নার্সারিতে পড়তে মাসে মাইনে লাগে ৬০০০ এর আশেপাশে। আর পরবর্তীতে মাসের মাইনে বেড়ে ১০ হাজার পর্যন্ত পৌঁছয়। আর প্রথমবার ভর্তিরখরচ ২ লাখের আশেপাশে।
ভালোবেসে অগ্নিদেব চট্টোপাধ্যায়কে বিয়ে করেন সুদীপা। তবে ছেলে আদিদেবের জন্মের আগে বেশ কষ্টেই কেটেছিল দিন। কিছু শারীরিক জটিলতার কারণে, স্বাভাবিকভাবে মা হতে পারছিলেন না। আর সেই যন্ত্রণা রীতিমতো ভেঙে দিয়েছিল তাঁকে। পরবর্তীতে আইভিএফ পদ্ধতির সাহায্য নিয়ে গর্ভে ধারণ করেন সন্তান। আর স্বাভাবিকভাবেই ছেলে অন্তপ্রাণ সুদীপা। আর আদিদেবও মায়ের আঁচলে জড়িয়ে রাখে নিজেকে। মা-ছেলের মিষ্টি ফোটো হামেশাই কেড়ে নেয় নেটপাড়ার মন।