১২ মে, ২০২৫ এ দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে বুদ্ধ পূর্ণিমা। গৌতম বুদ্ধের জীবনের একটি ঘটনার উপর জার্মান কবি এবং লেখক হার্মান হেসি সিদ্ধার্থ বইটি রচনা করেন। সেটার উপর ভিত্তি করেই ১৯৭২ সালে মুক্তি পায় একই নামের সিনেমা। মুখ্য ভূমিকায় ছিলেন শশী কাপুর এবং সিমি গারেওয়াল। এই ছবিতে উঠে এসেছিল এক নগরবধূ আম্রপালি ওরফে কমলার বিলাসবহুল জীবন ছেড়ে বৌদ্ধধর্মে ব্রতী গিয়ে ভিক্ষুণী হওয়ার গল্প। কিন্তু শশী কাপুর অভিনীত এই ছবিটি বিস্তর বিতর্ক উসকে দিয়েছিল। কিন্তু কেন?
আরও পড়ুন: সন্তানকে ভালোবাসলেও 'মাঝে মাঝে মা হতে ইচ্ছে করে না' স্বরলিপির! কী বললেন?
আরও পড়ুন: কেবল অভিনয় নয়, নাচেও তুখোড় ফুলকি! দিব্যাণীর লাইভ পারফরমেন্স দেখে কী বলছে দর্শকরা?
সিদ্ধার্থ ছবি নিয়ে কেন বিতর্ক?
সিদ্ধার্থ ছবিটির একাধিক দৃশ্যে শশী কাপুর অর্থাৎ সিদ্ধার্থ এবং সিমি গারেওয়াল অর্থাৎ কমলার অন্তরঙ্গ দৃশ্য দেখানো হয়েছে। রয়েছে তাঁদের চুম্বন দৃশ্য। আছে সঙ্গম, যৌনতার দৃশ্য। তবে বিশেষ ভাবে বিতর্ক উসকে দিয়েছিল সিমির নগ্ন দৃশ্য।
কিন্তু কেন এই বিতর্ক? ভারতীয় সিনেমায় তখনকার দিনে এই নগ্নতা বা অন্তরঙ্গ মুহূর্ত দেখানোর অত চল তো ছিলই না, বরং বিতর্কের বিষয় ছিল। সেই সময় সেন্সর বোর্ডও ভীষণ কড়া ছিল এই সমস্ত বিষয়ে। জানা যায় সেন্সর বোর্ডের এক কড়া নিয়মের কারণেই শশী কাপুর এবং সিমি গারেওয়ালের চুম্বন দৃশ্য, ঘনিষ্ট দৃশ্য, নগ্নতা রয়েছে এমন দৃশ্যগুলো কেটে বাদ দিয়ে দেওয়া হয়। শুধু তাই নয় ছবিটি তুলেও নেওয়া হয় কিছু সময়ের জন্য। খুব অল্প দিন বড় পর্দায় চলেছিল সিদ্ধার্থ ছবিটি।
তবে যতই বিতর্ক থাক সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কিন্তু ছবিটি তার শৈল্পিক গুণের জন্য প্রশংসিত হয়েছে। শুধু তাই নয়, ছবিটিকে যথাযথ ভাব সংরক্ষণ করেও রাখা হয়েছে।
এই বিষয়ে জানা যায় সিমি গারেওয়াল নাকি নগ্ন বা ঘনিষ্ট দৃশ্যগুলোর শ্যুটিংয়ের সময় নার্ভাস ছিলেন। কিন্তু শশী কাপুর তাঁকে সাহস জোগানয় অতি সহজেই তিনি সেই দৃশ্যগুলোতে অভিনয় করেন।
আরও পড়ুন: রানি লক্ষ্মীবাইয়ের সহযোদ্ধা ছিলেন সোফিয়া কুরেশির ঠাকুমার মা! ভাইরাল কর্নেলের পুরনো ভিডিয়ো
সিদ্ধার্থ ছবিটি প্রসঙ্গে
কনর্যাড রুকস সিদ্ধার্থ ছবিটির পরিচালনা করেছিলেন। হেমন্ত কুমার ছিলেন ছবির সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে। ১৯৭২ সালে মুক্তি পাওয়া এই ছবিটিতে শশী কাপুর, সিমি গারেওয়াল ছাড়াও ছিলেন কুণাল কাপুর, পিঞ্চু কাপুর, জুল ভেল্লানি, শান্তি হীরানন্দ, প্রমুখ। ইউটিউবে বর্তমানে উপলব্ধ আছে এই সিনেমাটি।