অভিনয় ও অভিনেতার জীবন বাইরে থেকে ঝাঁ চকচকে ও গ্ল্যামারাস দেখতে লাগলেও পুরোটা কিন্তু তা নয়। আদপে অভিনেতা হয়ে ওঠা বেশ কঠিন। অনেকটাই কাঠখড় পোহাতে হয়! জঙ্গলে, পাহাড়ে, এখানে ওখানে শ্যুটিং করতে গিয়ে বহু কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেতে হয় অভিনেতাদের।
যদি শ্যুটিং সেটে ঢুকে পড়ে অজগর সাপ। তাহলে কী পরিস্থিতি হয় বলুন তো! ঠিক তেমনই কাণ্ড ঘটেছে অভিনেতা শক্তি অরোরার সঙ্গে। যিনি কিনা শ্যুটিং করছিলেন মুম্বই ফিল্ম সিটিতে। যার সীমানা বরাবর রয়েছে সঞ্জয় গান্ধী জাতীয় উদ্যানের। সেখান থেকেই সম্ভবত ঢুকে পড়েছিল অজগর। সম্প্রতি সেই অভিজ্ঞতাই সকলকে জানিয়েছেন বছর ৩৭-এর শক্তি অরোরা। যিনি সেসময় 'গুম হ্যায় কিসিকি প্যায়র মে' ধারাবাহিকের শ্যুটিং করছিলেন।
আরও পড়ুন-ধর্মেন্দ্রর সঙ্গে এক ছাদের তলায় থাকেন না, একসময় ভালোবেসেই তো বিয়ে হয়! মুখ খুললেন হেমা মালিনী
আরও পড়ুন-তাঁরই তো ‘বেকরার করকে’ গানে নাচছেন 'জওয়ান' শাহরুখ, কী বলছেন বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়?
আরও পড়ুন-'একদিন খালি পেটেও ঘুমিয়েছি ভাই, এখন পারিশ্রমিক কমাতে পারব না', সাফ জানান গজরাজ
শক্তি অরোরা জানিয়েছেন সাপটিকে দেখার পর সঙ্গে সঙ্গে বন দফতরে খবর দেওয়া হয়। সেখান থেকে বনকর্মীরা এসে অজগরটিকে উদ্ধার করে আবারও বনে ছেড়ে দেওয়া হয়। মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে আতঙ্ক যেন কিছুতেই কাটছিল না। কারণ, হাজার হোক অজগর বলে কথা। তার উপর তাঁদের বলা হয়েছিল ওই মহিলা অজগরটি নাকি ১০০-১৫০টি ডিম পাড়েছে। শক্তি অরোরা বলেন, ‘আমরা জঙ্গল লাগোয়া শ্যুটিং করছিলাম ঠিকই, কিন্তু জঙ্গলের মধ্যে তো করিনি। আমাদের চারপাশে আরও অনেক টিভি সেট ছিল। আর এই প্রথম নয়, এর আগেও আমি একটি হরিণ এবং একটি সাপকে রাস্তা পার হতে দেখেছি।’ এভাবেই আতঙ্ক বুকে নিয়ে মুম্বই ফিল্ম সিটিতে শ্যুটিং করার কথা জানিয়েছেন শক্তি অরোরা। এর আগেও তাঁরই মতো বহু অভিনেতা ফিল্ম সিটিতে এভাবে বন্যপ্রাণীর হানার কথা জানিয়েছেন।