সলমন খানকে হুমকিমূলক ইমেল পাঠানোর অপরাধে রবিবারই রাজস্থানের যোধপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল ধাকড়রাম বিষ্ণোইকে। বান্দ্রা কোর্টের তরফে সোমবার অভিযুক্ত ৩ এপ্রিল অবধি পুলিশি হেফাজতে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যাতে সলমন খানকে হত্যার ছক কতদূর গড়িয়েছে, কারা কারা এতে অভিযুক্ত, সব বিষয় সামনে আসে। গত সপ্তাহে সলমন খানের ব্যক্তিগত সহকারী জর্ডি প্যাটেলের কাছে আসে একটি হুমকিমূলক ইমেল। অভিনেতার ঘনিষ্ঠ বন্ধু প্রশান্ত গুঞ্জালকার বান্দ্রা থানায় এই নিয়ে একটি অভিযোগও দায়ের করেন। এই ইমেলে সলমন খানকে প্রণে মারার হুমকি দেওয়া হয়েছিল। সুপারস্টারের নিরাপত্তা বাড়িয়ে দেওয়ার পাশাপাশি ঘটনার তদন্ত শুরু হয় তড়িঘড়ি। যোধপুর পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে বান্দ্রা থানার একজন সাব-ইন্সপেক্টর গ্রেফতার করে ধাকড়রামকে। তারপর অভিযুক্তকে মুম্বইতে নিয়ে আসা হয়। রাজস্থান পুলিশ এবং মুম্বই পুলিশের যৌথ অভিযান ছিল এটি। যোধপুরের লুনি থানার এসএইচও (স্টেশন হাউস অফিসার) ঈশ্বর চাঁদ পারীক জানিয়েছেন যে বান্দ্রা থানায় অভিযোগ দায়ের হওয়ার পরই তদন্ত শুরু হয়। এবং জানা যায় যে, ইমেলটি যোধপুর থেকে পাঠানো হয়েছিল। মুম্বই পুলিশ তখন সমস্ত তথ্য যোধপুর পুলিশের কাছে পাঠিয়ে দেয়। এরপর আরও খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, মেলটি যোধপুরের সিয়াগো কি ধানির বাসিন্দা ধাকড়রাম বিষ্ণোই পাঠিয়েছিল। এরপর ২১ বছর বয়সী ধকড়রামকে গ্রেফতার করা হয়।পুলিশ আরও জানিয়েছে যে, অভিযুক্তের তরফে ইমেল গিয়েছিল প্রয়াত পঞ্জাবি গায়ক সিধু মুসেওয়ালার বাবাকে হত্যা করার হুমকি দেওয়া একটি ইমেলও। বান্দ্রা পুলিশ ভারতীয় দণ্ডবিধির (IPC) ধারা ১২০-বি, ৫০৬(২) এবং ৩৪-এর অধীনে এফআইআর নথিভুক্ত করেছে- সালমান খানের অফিসে হুমকিমূলক ইমেল পাঠানোর অভিযোগে তিন ব্যক্তি- গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই, গোল্ডি ব্রার এবং রোহিতের বিরুদ্ধে। এসএইচও পারিকের মতে, ধকড়রামের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে একটি মামলাও দায়ের করা হয়েছে।প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে সলমন খানকে সরাসরি হত্যা করার হুমকি দেন লরেন্স বিষ্ণোই। এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘সলমনকে বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের কাছে গিয়ে ক্ষমা চাইতে হবে। তার জন্য তাঁকে যেতে হবে তাঁদের গ্রামের মন্দিরে। অন্যথায় পরিণতির জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।’লরেন্সের দাবি কৃষ্ণসার হরিনকে তাঁদের গ্রামের লোক দেবতা রূপে পুজো করে। সেই হরিণ মেরে বড় অন্যায় করেছেন খান। গোটা বিষ্ণোই সম্প্রদায়কে আঘাত দিয়েছেন। ১৯৯৮ সালে সলমন খানের উপর যোদপুরে হাম সাথ সাথ হ্যায় ফিল্মের শ্যুটিং চলাকালীন দুটি কৃষ্ণসার হরিণ হত্যার অভিযোগ রয়েছে। তাকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ডও দেওয়া হয়েছিল।আপাতত সলমন খান ও তাঁর বাবা সেলিম খানকে মহারাষ্ট্র সরকার Y+ ক্যাটাগরির নিরাপত্তা প্রদান করে। (এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক http://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup)