মঙ্গলবার নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর হাতে গ্রেফতার হয়েছে রিয়া চক্রবর্তী। ড্রাগ সিন্ডিকেটের অ্যাক্টিভ সদস্য রিয়া চক্রবর্তী, এই গুরুতর অভিযোগে রিয়াকে গ্রেফতার করেছে এনসিবি। রিয়ার জবানবন্দির ভিত্তিতেই অভিযুক্ত নায়িকাকে গ্রেফতার করেছে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর আধিকারিকরা। যদিও মাদক সেবনের প্রসঙ্গ এড়িয়ে যান রিয়া। মাদক সংগ্রহ করার বিষয়টি মেনে নিয়েছেন রিয়া।
ভিডিয়ো কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে মঙ্গলবার রাতেই রিয়াকে ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে পেশ করে এনসিবি। কেন্দ্রীয় সংস্থার দাবি মেনে অভিযুক্ত নায়িকার ১৪ দিনের বিচার বিভাগীয় হেফাজত মঞ্জুর করা হয় ম্যাজিস্ট্রেটের তরফে। খারিজ করা হয় রিয়ার জামিনের আর্জি। গতকাল শুনানি পর্ব মিটতে অনেক রাত হয়ে যাওয়ায় এনসিবির কাস্টডিতেই রাখা হয়েছিল রিয়াকে। আজ সকালে বাইকুল্লা জেলে নিয়ে যাওয়া হবে রিয়াকে। সকাল ১০টার পর রিয়াকে নিয়ে যাওয়া হবে এই মহিলা সংশোধনাগারে। অন্যদিকে আজই সেশন কোর্টে ফের একবার রিয়ার জামিনের আবেদন জানাবেন তাঁর আইনজীবী সতীশ মানেসিন্ধে। বেলা ১১টা নাগাদ জানানো হবে রিয়ার জামিনের আর্জি।
এনডিপিএস আইনের আওতায় ৮ (সি), ২০ (বি), ২৭ (এ), ২৮, এবং ২৯ নম্বর ধারায় গ্রেফতার করা হয়েছে রিয়া চক্রবর্তীকে। ২৭ (এ) ধারা অর্থাত্ অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনা হয়েছে রিয়ার বিরুদ্ধে, যা প্রমাণ হলে কমপক্ষে ১০ বছরের সাজা হবে রিয়ার। এই ধারার কারণেই রিয়ার জামিন না-মঞ্জুর করেছেন ম্যাজিস্ট্রেট। কারণ ম্যাজিস্ট্রেটের জুরিসডিকশন নেই ২৭ (এ) ধারার জন্য জামিন মঞ্জুর করবার। ১০ বছর বা তার বেশি সাজা হয় এমন কোনও ধারার জন্য ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের জামিন দেওয়ার আইনগত অধিকার নেই, এমনটাই জানান এনসিবির তরফে নিযুক্ত এই মামলার সরকারি আইনজীবী অতুল সারপান্ডে।
রিয়ার আগেই এই মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে শৌভিক চক্রবর্তী, স্যামুয়েল মিরান্ডা, কেশব সহ আরও পাঁচ মাদক পাচারকারীকে। এই মামলায় এনসিবির হাতে ১০ নম্বর গ্রেফতারি রিয়া চক্রবর্তী।
মাদককাণ্ডে এনসিবির হাতে গ্রেফতার হওয়ার পাশাপাশি, সুশান্ত মামলায় অপর দুই কেন্দ্রীয় সংস্থার এফআইআরেও মূল অভিযুক্ত রিয়া চক্রবর্তী। সিবিআই সুশান্তের মৃত্যু মামলার তদন্ত করছে, অন্যদিকে আর্থিক তছরুপ সংক্রান্ত মামলার তদন্ত চালাচ্ছে ইডি।