সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পরের দিন, ১৫ জুন কুপার হাসপাতালের মর্গে সুশান্তের অন্তিম দর্শনে গিয়েছিলেন রিয়া চক্রবর্তী। সম্প্রতি রিয়া এই মর্গে যাওয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে সংবাদ মাধ্যমে। কার অনুমতি নিয়ে এবং কীভাবে মর্গে গেলেন রিয়া? সাধারণত মর্গে খুব ঘনিষ্ঠ কাউকে ছাড়া ঢোকার অনুমতি দেওয়া হয় না। তাই পরিবারের অনুমতি না নিয়ে রিয়ার মর্গে যাওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই।
এবার রিপাবলিক মিডিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে সুরজিত সিং রাঠোর নামের এক প্রত্যক্ষদর্শী দাবি করেছেন তিনি সেদিন রিয়াকে মর্গের ভিতর নিয়ে গিয়েছিল। ঠিক কী হয়েছিল সেদিন? রাজপুত করণি সেনার এই সদস্য বলেন, সুশান্তকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে সংগঠনের নির্দেশে তিনি সেদিন হাসপাতালে গিয়েছিলেন। সেখানে সুশান্তের পরিবারের কোনও সদস্য উপস্থিত ছিল না। কিন্তু সন্দীপ সিং ছিলেন। এরপর তাঁর পূর্ব পরিচিত এক ব্যক্তি, সুরজ সিং তাঁকে অনুরোধ করেন রিয়া চক্রবর্তীকে সুশান্তের অন্তিম দর্শনের ব্যবস্থা করিয়ে দিতে।
সুরজিত জানিয়েছেন, তিনি রিয়াকে সঙ্গে নিয়ে যখন মর্গের ভিতর ঢোকেন তখন তিনি নিজে সুশান্তের মুখের সাদা চাদর সরিয়ে ছিলেন। এবং সেই সময় সুশান্তের বুকের উপর হাত রেখে একটাই শব্দ উচ্চারণ করেছিলেন রিয়া ‘সরি বাবু’। রিয়ার সঙ্গে সেদিন মর্গে পৌঁছেছিল তাঁর গোটা পরিবার। রিয়ার মা,ভাই এবং বাবাও সুশান্তের অন্তিম দর্শন করতে চেয়েছিল কিন্তু হাসপাতালের তরফে সেই অনুরোধ মানা হয়নি।
সুরজিত এও জানান, সেদিন হাসপাতালে সন্দীপ সিংয়ের গতিপ্রকৃতি দেখে তাঁর সন্দেহজনক মনে হয়েছিল। তিনি আরও বলেন সন্দীপ সিংয়ের বিরুদ্ধে মুম্বই পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগও জমা দিয়েছেন তিনি। কথা বলেছেন বান্দ্রা জোন-৯ এর ডিসিপি অভিষেক ত্রিমুখের সঙ্গেও। যদিও তাঁর অভিযোগকে গুরুত্ব দেয়নি মুম্বই পুলিশ।
সুশান্তের শেষকৃত্যে রিয়া চক্রবর্তীকে হাজির থাকবার অনুমতি দেয়নি সুশান্তের পরিবার। তাই শেষযাত্রা শুরুর আগেই কুপার হাসপাতালে যান রিয়া। ১৪ জুন বান্দ্রার অ্যাপার্টমেন্ট থেকে উদ্ধার হয় সুশান্তের দেহ। পরের দিন পবন হংস মহাশ্মশানে সম্পন্ন হয় তাঁর শেষকৃত্য।

রিয়া চক্রবর্তী ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে সুশান্তকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়া,প্রতারণা সহ একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করেছেন প্রয়াত অভিনেতার পরিবার। আপতত সিবিআই এই মামলার তদন্ত করছে।