সম্প্রতি আমদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়ার লন্ডনগামী ফ্লাইট এআই১৭১ বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় এই বিমান কোম্পানি নিয়ে যাত্রীদের মধ্যে সন্দেহ ও অবিশ্বাসের ছায়া পড়েছে। তবে এইসব বিতর্কের পরেও, অভিনেত্রী রবিনা ট্যান্ডন এই কোম্পানির বিমানে চড়ার সিদ্ধান্ত নেন। তবে তিনি সেখানকার পরিবেশকে ‘গম্ভীর’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
সোমবার রবিনা ইনস্টাগ্রামে এয়ার ইন্ডিয়ার প্রতি তাঁর আস্থা প্রকাশ করে জানিয়েছেন যে, তিনি সম্প্রতি এয়ার ইন্ডিয়ার প্লেনে চড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তিনি বিমানের ভিতরে নিজের বেশ কয়েকটি ছবি এবং তার বোর্ডিং পাসের একটি ছবিও শেয়ার করেন।
ছবি শেয়ার করে রবিনা লিখেছেন, ‘নতুন শুরু... সমস্ত প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে আবার উঠতে এবং উড়তে ... বাছাই করা এবং সমস্ত কিছু শুরু করা, বৃহত্তর শক্তির দিকে নতুন সংকল্প।’
‘পরিবেশ গম্ভীর এবং ক্রুরা হাসির সঙ্গে স্বাগত জানাচ্ছে ঠিকই, তবে বিষণ্ণতায় রঙিন। নীরব যাত্রী এবং ক্রু অব্যক্ত শোক এবং সূক্ষ্ম আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বন্ধন। যে পরিবারগুলি তাদের প্রিয়জনকে হারিয়েছে তাদের প্রতি সমবেদনা জানাই। যে ক্ষত কখনো শুকাবে না। ঈশ্বর সর্বদা থাকুক @airindia-র সঙ্গে। নির্ভীক এবং জয় করে আবার শক্তিশালী হওয়ার ইচ্ছা।’, আরও লেখেন রবিনা এই পোস্টে।
এর আগে কমেডিয়ান বীর দাস বিমান সংস্থার পক্ষে সওয়াল করতে এগিয়ে এসেছিলেন। তিনি টুইট করেছিলেন, ‘অনেক পরিবারের জন্য এটি একটি দুঃখের দিন। আমাদের সকল চিন্তা ও প্রার্থনা তাঁদের সঙ্গে আছে। আমি শুধু ক্রুদের পাশে থাকতে চাই। আমি সারা জীবন এয়ার ইন্ডিয়া চড়েছি। এটি এমন কোনো বিমান সংস্থা নয়, যাতে কোনো সমস্যা নেই। তবে আমি তাদের অন্যতম হার না মানা ক্রু হিসেবেই জানি।’,
তিনি আরও লিখেছিলেন, ‘এই মর্মান্তিক ফ্লাইটে কী ঘটেছিল তা সময়ই বলে দেবে। আমি কল্পনাও করতে পারি না যে, এই মুহূর্তে তাদের পক্ষে কাজটি করা কতটা কঠিন। ক্রুদের জন্য, শুধু এটা বলতে চাই যে, আপনাদের পাশেই আছি। এবং শীঘ্রই ফ্লাইটে আপনার সঙ্গে দেখা হবে বলে আশা করি’
গত ১২ জুন আমদাবাদে থেকে লন্ডনগামী ২৪২ জন যাত্রী ও ক্রু নিয়ে বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার উড়ানের কিছুক্ষণ পরই মেঘানিনগরের একটি মেডিক্যাল কলেজের হোস্টেলে ভেঙে পড়ে। এই দুর্যোগে ১৬৯ জন ভারতীয়, ৫৩ জন ব্রিটিশ, সাতজন পর্তুগিজ এবং একজন কানাডিয়ান সহ ২৪১ জন প্রাণ হারিয়েছিলেন। ১১এ তে বসা যাত্রী বিশ্বশ কুমার রমেশ সামান্য আহত, একমাত্র বেঁচে ছিলেন।
আমদাবাদে বিমান দুর্ঘটনায় মোট ২৭০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে লন্ডনগামী বিমানটিতে ২৪১ জন এবং বিজে মেডিকেল কলেজের হোস্টেলে বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার পর নিহত ২৯ জন রয়েছেন। গুজরাটের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানিও ওই বিমানে ছিলেন। ৬৮ বছর বয়সী রূপানি লন্ডনে তাঁর মেয়ের সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছিলেন। এয়ার ইন্ডিয়া ও টাটা গ্রুপ নিহতদের পরিবারকে ১ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ এবং ২৫ লাখ টাকা অন্তর্বর্তীকালীন ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে।