লোকসভা নির্বাচনে হুগলি লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপির লকেট চট্টোপাধ্যায়কে ৮০ হাজার ভোটে হারিয়ে জয়ী হয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই সময় লোকসভায় চলে বাদল অধিবেশন। সাংসদ হিসেবে লোকসভার এই বাদল অধিবেশনে রচনাকেও উপস্থিত থাকতে হয়। কিন্তু তাঁর পক্ষে প্রতিদিন সেই অধিবেশে উপস্থিত থাকা সম্ভব হচ্ছে না। কিন্তু কেন সম্ভব হচ্ছে না? তা নিয়েই এবার মুখ খুললেন রচনা।
আরও পড়ুন: 'যদি শরীর দেখিয়ে কাজ করতে হয়…', ইন্ডাস্ট্রিতে কম্পোমাইজ প্রসঙ্গে মুখ খুললেন শ্বেতা
TV9 বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নেত্রী এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘লোকসভায় যাওয়াটা নির্ভর করে কে কখন কী পরিস্থিতিতে রয়েছেন তার উপর। সেই অনুযায়ী তাঁরা কখন কখন যেতে পারবেন তা নির্ভর করে। যাঁরা পুরোপুরি ভাবে রাজনীতিবিদ বা রাজনীতিটাই যাঁদের একমাত্র পেশা, আমার মনে হয় তাঁদের অবশ্যই যতদিন এই অধিবেশন চলবে, তত দিন পার্লামেন্টে যাওয়া উচিত। যদি না তাঁর কোনও শারীরিক সমস্যা বা পারিবারিক কোনও অসুবিধা থাকে। সব ঠিক থাকলে রোজ যাওয়া উচিত।’
আরও পড়ুন: রবিবারও বক্সঅফিসে ‘মহাবতার নরসিংহ’-এর দাপট! 'সন অফ সর্দার ২' থেকে ‘ধড়ক ২’ কত আয় করল?
কিন্তু যাঁরা শুধুমাত্র রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নন, পাশাপাশি আরও অন্যান্য কাজও করে থাকেন নায়িকার মতে তাঁদের বিষয়টা একটু আলাদা। এই প্রসঙ্গে তিনি নিজের উদাহরণ দিয়েই বলেন, ‘যাঁরা রাজনীতির পাশাপাশি অন্যান্য পেশার সঙ্গে যুক্ত আছেন, যেমন আমি। আমাকে 'দিদি নম্বর ১'-এর মতো ৩৬৫ দিন সম্প্রচারিত হয় এমন একটি শো করতে হয়, পাশাপাশি আমার নিজের ব্যবসা রয়েছে, তার সঙ্গে রাজনীতিটাও করি। তাই আমাকে সবটা ম্যানেজ করতে হয়। কারণ আমাকে শোটাও তো চালাতে হবে। কারণ এটা এমন একটা শো যেটা বন্ধ হয়ে গেলে হয়তো আন্দোলন শুরু হয়ে যাবে। আমি তো সেটা হতে দিতে পারব না। সেই শোটার সঙ্গে সঙ্গে আমি ব্যবসাও করি। সেই কাজ আমাকে করতে হয়। তার পাশাপাশি আমার সংসারের কাজকর্ম আছে। তার সঙ্গে রাজনীতি আছে। তাই আমাকে সবটা মানিয়ে চলতে হয়। তাই আমার পক্ষে ১০০ ভাগ হাজিরা দেওয়া সম্ভব হয় না। কিন্তু আমি চেষ্টা করি যতটা সম্ভব অ্যাডজাস্ট করে পার্লামেন্টের জন্য সময় বের করতে।'