প্রতীক ব্বরের বিয়েতে রাজ বব্বরের অনুপস্থিতি নিয়ে জোর জল্পনা-কল্পনা হয়েছিল। কেন ছেলের বিয়েতে অনুপস্থিত ছিলেন বাবা? প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করেছিলেন অনেকেই। তবে এবার এই বিষয় নিয়ে সরাসরি মুখ খুললেন প্রতীক নিজেই।
Ad
বিয়েতে রাজের অনুপস্থিতির আসল কারণ জানালেন প্রতীক বব্বর
চলতি বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি প্রিয়া বন্দোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন রাজ বব্বর এবং স্মিতা পাতিল পুত্র প্রতীক বব্বর। প্রতীকের বিয়েতে রাজের আমন্ত্রণ না পাওয়ার বিষয়টি ভীষণ চোখে লেগেছিল সকলের, কেন এই ঘটনাগুলো তা নিয়ে বারবার প্রশ্ন উঠেছিল নেটিজেনদের তরফ থেকে।
প্রতীকের বিয়ের সময় রাজের অনুপস্থিতি নিয়ে যখন জোর জল্পনা কল্পনা চলছে ঠিক সেই সময় এই বিষয় নিয়ে খোলামেলা কথা বললেন প্রতীক। জুমের সঙ্গে একটি সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, বাবাকে না ডাকার সিদ্ধান্ত শুধু তাঁর একার ছিল না, প্রিয়া এবং তিনি দুজনে মিলে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
প্রতীক বলেন, ‘আমার যেখানে বিয়ে হয়েছিল সেই বাড়িটি আমার মা স্মিতা পাতিলের। এটি ছিল একটি ব্যক্তিগত অনুষ্ঠান। অতীতে আমার মা এবং আমার সৎ মা নাদিরা বব্বরের সঙ্গে জটিলতার কারণে আমি আমার বাবা, ভাই বা পরিবারের কাউকে আমার মায়ের বাড়িতে হওয়া অনুষ্ঠানে জড়াতে চাইনি।’
প্রতীক আরও বলেন, ‘আমার বাবার বর্তমান স্ত্রী এবং আমার মায়ের সঙ্গে অতীতে বেশ কিছু জটিলতা তৈরি হয়েছিল। আপনি যদি ৩০-৪০ বছর আগের সংবাদপত্র ঘেঁটে দেখেন তাহলে এর প্রমাণ পেয়ে যাবেন। যে বাড়িতে গোটা অনুষ্ঠানটি হয়েছে সেটি আমার মায়ের বাড়ি, তাই আমার মনে হয়েছিল যে ওই পরিবারের কাউকে আমন্ত্রণ করা উচিত নয়। আমি জানি হয়তো এটি ঠিক সিদ্ধান্ত ছিল না, কিন্তু এই সিদ্ধান্ত আমি আমার মায়ের জন্য নিয়েছি।’
অভিনেতা বলেন, ‘আমার মা এবং তাঁর ইচ্ছাকে সম্মান জানানোর জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া, কাউকে দুঃখ দেওয়ার জন্য নয়। আমার মা যে বাড়িতে আমাকে ছোট থেকে একা মানুষ করেছেন একজন সিঙ্গল মাদার হিসেবে, সেখানে মায়ের সম্মান রক্ষার জন্য আমি এবং আমার স্ত্রী এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। আপনি মনে করতেই পারেন হয়তো এটি আবেগপ্রবণ সিদ্ধান্ত ছিল, তবে গোটা ব্যাপারটি যেভাবে সকলের সামনে তুলে ধরা হয়েছিল তা সঠিক নয়। এতে সম্পর্কে তিক্ততা বাড়ে।’
প্রসঙ্গত, ১৯৭৫ সালে নাদিরা বব্বরকে বিয়ে করেছিলেন রাজ। তাঁদের দুই সন্তান জুহি এবং আর্য। তবে পরবর্তীকালে ১৯৮৩ সালে স্মিতা পাতিলকে বিয়ে করেন অভিনেতা। দুর্ভাগ্যবশত প্রতীকের জন্মের সময় শারীরিক কিছু জটিলতা থাকার কারণে মৃত্যু হয় অভিনেত্রীর। দ্বিতীয় স্ত্রীর মৃত্যুর পর ফের প্রথম স্ত্রীকে বিয়ে করেন রাজ।