সামাজিক মাধ্যমে দাম্পত্যের এক টুকরো ঝলক ভাগ করে নিলেন পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রী পিয়া চক্রবর্তী। দুই ছেলে-মেয়েকেও দেখালেন সকলকে। দেখুন-
Ad
কেমন চলছে পিয়া আর পরমব্রতর দাম্পত্য জীবন?
পিয়া চক্রবর্তী আর পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ের সাংসারিক জীবনের টুকরো-টাকরা ছবি যখনই উঠে এসেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়, বড়ই পন্দ করেছে নেটিজেনরা। সবাইকে একপ্রকার লুকিয়েই বিয়ের পিঁড়িতে বসেছিলেন তাঁরা। দেখতে দেখতে ৮ মাসের বিবাহিত জীবন। বুধবার রাতে অন্তরমহলের ঝলক শেয়ার করে নিলেন পিয়া।
পরমব্রতর একটি ছবি শেয়ার করলেন পিয়া, সঙ্গে পোষ্য সারমেয়। ছবির ক্যাপশনে তিনি লিখলেন, ‘ব্যাক উইথ বেবিগার্ল’। আর হ্যাশট্যাগে জুড়লেন নীনা। এরপর বেবি বয়ের ছবিও দিলেন পিয়া ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে, সেটিও একটি বিড়াল। দেখুন পিয়ার ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করা দুই সন্তানের ছবি-
পিয়ার ইনস্টাগ্রাম স্টোরি।
২০২৩ সালের ২৭ নভেম্বর চার হাত এক হয়েছিল পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় ও পিয়া চক্রবর্তীর। বিয়ের সকাল অবধি কারও কাছে খবর ছিল না। একপ্রকার সকলেই চমকে গিয়েছিলেন পরমব্রতর বিয়ের পিঁড়িতে বসার খবর শুনে। পরমব্রতর এটি প্রথম বিয়ে হলেও, দ্বিতীয়বারের জন্য বিয়ের পিঁড়িতে বসেছিলেন পিয়া। এর আগে গায়ক অনুপম রায়ের স্ত্রী ছিলেন তিনি।
পরমব্রত আর পিয়া করেছিলেন আইনি বিয়ে। পরে বন্ধু ও পরিবারের জন্য দিয়েছিলেন একটি রিসেপশন পার্টি। এক সাক্ষাৎকারে বউ পিয়া সম্পর্কে মুখ খুলে পরমব্রত জানিয়েছিলেন, 'আমাদের জীবনটা তো অনিশ্চিত। অনেক ওঠা পড়া থাকে। বাবা মাও নেই। সেখানে দাঁড়িয়ে ও একটা ভরসার জায়গা। আমার সব থেকে বড় শক্তি।'
পিয়া-পরমব্রতর বিয়ে নিয়ে একসময় কম ট্রোল হয়নি নেটমাধ্যমে। এই বিয়ের খবর শুনে রীতিমতো অনুপম রায়ের উপরে ভালোবাসা উথলে উঠেছিল নেটমাধ্যমের একাংশের। এমনকী সেই সময় পরমব্রতর গায়ে সেঁটে দেওয়া হয়েছিল ‘বউ চোর’ তকমাও। তবে এরপর অনুপম রায় তৃতীয়বার বিয়ের পিঁড়িতে বসতেই (এবারে স্ত্রী গায়িকা প্রশ্মিতা) ট্রোলের মাত্রা কিছুটা কমে। অবশ্য ট্রোলের মুখ বন্ধ কীভাবে করতে হয় তা পিয়া জানেন। পরমব্রত গোটা সময়টাই মৌন ছিলেন। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ কিছু জবাব দিয়েছেন পিয়া।
২০২১ সালের নভেম্বরে পিয়া চক্রবর্তীর সঙ্গে ৬ বছরের দাম্পত্য সম্পর্কে ইতি টানেন অনুপম। সেই সময় তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছিল, এই বিচ্ছেদ তাঁর জীবনের ‘সবচেয়ে বড় ক্ষতি’। যদিও আলাদা হওয়ার কারণ নিয়ে কেউই কখনও মুখ খোলননি। তবে সেই সময় উঠে এসেছিল তৃতীয় ব্যক্তির প্রসঙ্গ। বারবার নাম এসেছিল, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ের। দাবি উঠছিল, পরমব্রত-পিয়ার ঘনিষ্ঠতাই নাকি ছিল এই বিচ্ছেদের পিছনে।