টাকার লেনদেন নিয়ে সুশান্তের এক স্টাফের সঙ্গে সুশান্তের দিদি প্রিয়াঙ্কা সিং এবং তাঁর স্বামী সিদ্ধার্থের ঝামেলার একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হল সোশ্যাল মিডিয়ায়। কী কারণে এবং তাঁর কথায় টাকা ট্রান্সফার করা হয়েছে সেই প্রশ্নই বারবার সুশান্তের সেই কর্মীকে করছিলেন প্রিয়াঙ্কা ও তাঁর স্বামী। জানা গিয়েছে গত বছর এপ্রিলের ৩ তারিখের ভিডিয়ো এটি। ভিডিয়োয় ভীষণ রেগে গিয়ে প্রিয়াঙ্কা ও তাঁর স্বামী রজত নামের ওই কর্মীকে জেরা করছেন পঙ্কজ নামের এক ব্যক্তির অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানোর জন্য। সূত্রের খবর সেই সময় সুশান্তের অ্যাকাউন্টের দেখা শোনা করতেন রজত। প্রিয়াঙ্কার স্বামী বারবার তাঁকে জিজ্ঞাসা কার কথায় সে টাকা ট্রান্সফার করেছে, সেই নামটা বলতে, অন্যদিকে প্রিয়াঙ্কা পুলিশ ডাকবার হুমকি দেন। এপ্রিল মাসেই সুশান্তের বাড়ির হাউজ ম্যানেজার পঙ্কজকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এবং ৪ তারিখ থেকে স্যামুয়েল মিরান্ডাকে সুশান্তের বাড়ির হাউজ ম্যানেজার হিসাবে নিযুক্ত করা হয়। এই স্যামুয়েল মিরান্ডা ১৪ জুন সুশান্তের মৃত্যুর সময়ও তাঁর বান্দ্রার অ্যাপার্টমেন্টে উপস্থিত ছিল এবং সুশান্তের পরিবারের তরফে দায়ের এফআইআরে নাম রয়েছে স্যামুয়েলের। সুশান্তের চারদিদির মধ্যে প্রিয়াঙ্কা সিংয়ের সঙ্গে সুশান্তের সম্পর্ক নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই জল্পনা চলছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। কারণ দিন কয়েক আগেই এই মামলার মূল অভিযুক্ত রিয়া চক্রবর্তীর টিমের তরফে সুশান্ত-রিয়ার বেশ কিছু হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট সামনে আনা হয়। সেই হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটে কোনও তারিখের উল্লেখ না তাহলেও সেখানে দিদি প্রিয়াঙ্কার ‘ব্যবহার’ নিয়ে ‘উদ্বেগ’ প্রকাশ করেছিলেন সুশান্ত-এমনটাই দেখা যাচ্ছে। রিয়ার টিমের তরফে সামনে আনা সেই হোয়াটসঅ্যাপ স্ক্রিনশটে প্রিয়াঙ্কাকে পুরো শয়তান, ধান্দাবাজ বলে উল্লেখ করেছেন সুশান্ত। সোশ্যাল মিডিয়ায় জোর গুঞ্জন এই ভিডিয়োটিও নাকি রিয়ার ক্যাম্পের তরফে ফাঁস করা হয়েছে প্রিয়াঙ্কার ইমেজ নষ্ট করবার উদ্দেশ্যে। অনেকে আবার লিখেছেন,'টাকার লেনদেনে গড়বড় থাকলে হাউজ স্টাফকে প্রশ্ন করা বা পুলিশ ডাকার হুমকি দেওয়ার মধ্যে খারাপ কিছু নেই'। যদিও প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে সুশান্তের সম্পর্ক নিয়ে তাঁর অপর দিদি শ্বেতা জবাব দেন। যেখানে তিনি সুশান্তের একটি পুরোনো ইন্টারভিউয়ের ক্লিপিং শেয়ার করে লেখেন, ‘ও মেনে নিয়েছে ওর দিদিদের মধ্যে প্রিয়াঙ্কা (সোনুদি) ওর সবচেয়ে কাছের, সোনুদি ওকে ধরে ফেলে’। সেই সাক্ষাত্কারে সুশান্তকে বলতে শোনা গেল, ‘আমি পরিবারের সকলেরই খুব ঘনিষ্ঠ, তবে আমার দিদি প্রিয়াঙ্কা আমার সবচেয়ে কাছের কারণ ও আমাকে ধরে ফেলে (সবকিছু বুঝে যায়)। আমাদের চিন্তা-ভাবনা একদম এক’। অপর ক্লিপিংসে সুশান্তকে বলতে শোনা গেল, আমার সবচেয়ে পবিত্র রিসতা হচ্ছে প্রিয়াঙ্কাদির সঙ্গে।