প্রয়াত জনপ্রিয় ওড়িয়ার অভিনেতা উত্তম মোহান্তি। মৃত্যুকালের তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৬ বছর। তিনি বাংলাতেও বেশ কিছু কাজ করেছেন। বিগত কিছুদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন অভিনেতা। অবশেষে বৃহস্পতি বার রাতে তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁর ছেলে অভিনেতা বাবুসান সকলের সঙ্গে এই বার্তা ভাগ করে নেন।
জানা গিয়েছে, একটি ছবির শ্যুটিং করতে গিয়েছিলেন উত্তম মোহান্তি। সেখানেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। প্রথমে অভিনেতাকে ভুবনেশ্বরের একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বিগত কয়েকদিন ধরে লিভার সিরোসিসের সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। তারপর চলতি মাসের ৮ তারিখ তাঁকে ভুবনেশ্বর থেকে দিল্লি নিয়ে যাওয়া হয়। অভিনেতার সঙ্গে ছিলেন তাঁর স্ত্রী অপরাজিতা মোহান্তি। তিনিও পেশায় একজন অভিনেত্রী।
অভিনেতার সমস্ত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সচল রেখে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স করে তাঁকে দিল্লিতে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানেই গুরুগ্রামের এক বেসরকারি হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা চলছিল। দিল্লিতেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন নায়ক।
ওড়িয়া চলচিত্র জগতে অতি জনপ্রিয় এই কিংবদন্তি অভিনেতা উত্তম মোহান্তি। ১৯৭৭ সালে 'অভিমান' ছবির হাত ধরে সিনে দুনিয়ায় পা রেখেছিলেন তিনি। ওড়িয়া সিনে দুনিয়ায় একসময় উত্তম মোহান্তি ও রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জুটি ছিল সুপার হিট। তাঁদের সব ছবিই ছিল আইকনিক।
আরও পড়ুন: বড় দুঃসংবাদ! আজই শেষ শ্যুটিং জি বাংলার এই টিআরপি টপার মেগার, সিলমোহর দিলেন নায়ক
কয়েক দশকের কেরিয়ারে ওড়িয়ার পাশাপাশি বাংলা ছবিতেও নজর কাড়েন তিনি। নিজের কেরিয়ারে ১৩৫টিরও বেশি ওড়িয়া ছবিতে অভিনয় করেছেন। ১৯৮০ সালে তাঁর কেরিয়ার ছিল শীর্ষে। ওড়িয়া ছাড়াও কমপক্ষে ৩০টি বাংলা ছবিতে কাজ করেছেন তিনি। এছাড়াও ১৯৯১ সালে হিন্দি ছবি 'নয়া জহের'-এ অভিনয় করেছিলেন তিনি। এই মুহূর্তে ‘বউ বুট্টু ভুটা’ ছবিতে কাজ করছিলেন। এই ছবি আগামী ১২ জুন মুক্তি পাবে। তবে তার আগেই চলে গেলেন অভিনেতা।
অভিনয়ের জন্য তিনি অর্জন করেছেন একাধিক পুরস্কারও। ১৯৯৯ সালে জয়দেব পুরস্কার ছাড়াও ২০১২ সালে লিভিং লেজেন্ড অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন তিনি। একাধিকবার ওড়িশা রাজ্যের সেরা অভিনেতার পুরস্কারও পেয়েছেন তিনি। তাঁর মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে আসতেই শোকের ছায়া নেমে এসেছে ওড়িশা চলচ্চিত্র জগতে। সোশ্যাল মিডিয়াতেও শোক প্রকাশ করেছেন তাঁর অনুরাগীরা।