বলিউড এই মুহূর্তে সামগ্রিকভাবে মন্দার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। কিছু ছবি ছাড়া বেশিরভাগ ছবিই ব্যর্থ। এমনকি বড় বাজেটের ছবিও সেভাবে ব্যবসা করতে পারছে না, সেক্ষেত্রে অনেকসময়ই প্রযোজনা সংস্থাগুলিকে ক্ষতির মুখোমুখি হতে হচ্ছে। অনেকেরই অভিযোগ, এসবের মধ্যে বহু অভিনেতার বায়নাক্কার কারণেও ছবি প্রযোজনার খরচ অনেকটাই বেড়ে যায়। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সেবিষয়েই মুখ খুলেছেন অভিনেতা নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকি। তাঁর কথায়, ‘ইয়ে আজ সে নেহি, বোহোত আগে সে হোতা আ রাহা হ্যায়’ ‘এটা তো আজ থেকে নয়, বহুদিনের সমস্যা’।
কিছু অভিনেতার ট্যানট্রাম করার কথায় নওয়াজউদ্দিন বলেন, ‘কিছু অভিনেতার অনেক অপ্রয়োজনীয় চাহিদা রয়েছে, তাঁরা সবকিছুই বিলাসবহুল চায়। একটা জিম করার জন্য, একটা রান্নার জন্য, একটা খাওয়ার জন্য, স্নান করার জন্য, চিত্রনাট্যের লাইন অনুশীলন করার জন্য এবং কী নেই! ইয়ে পাগলপান হ্যায় (এটা পাগলামো)। কোয়ি পাগল-হি হোগা যো পাঁচ ভ্যানিটি ভ্যান লেকে চলতা হ্যায়' (পাগলরাই ৫টা ভ্যানি ভ্যান নিয়ে ঘোরে)।
বছর ৫০-এর নওয়াজের সাফ কথা, ‘একজন অভিনেতা অকারণে কেন প্রযোজনার খরচ বাড়াতে চান বুঝি না! নবাবদেরও এত দাবি ছিল বলে মনে হয় না। এটা ভীষণই ভুল। এর পরিবর্তে ছবিতে টাকা ঢালুন তাতে আখেরে ছবির জন্য ভালো হবে।’ কাজের ক্ষেত্রে নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকিকে জি ফাইভের ছবি ‘রাউতু কা রাজ’-এ দেখা যাবে।
ছবির সেটে নওয়াজের কি কোনও দাবি থাকে, যে এটা নাহলে তিনি কাজ করবেন না? একথায় নওয়াজউদ্দিনের সাফ কথা, ‘আমি শুধু চাই, আমি ভালো কাজ করব। আমার আলাদা করে এধরনের কোনও চাহিদা থাকে না।'
১৯৯৯ সালে 'সরফরোশ' ছবির হাত ধরে বলিউডে ছবির দুনিয়ায় অভিষেক হয় নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকির। সম্প্রতি সিনেমার দুনিয়ায় ২৫ বছর পূর্তি হয়েছে নওয়াজের। উপরওয়ালার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে নওয়াজ বলেন, ‘যো ম্যায়নে সোচা থা, উসে ভি উপার মুঝে উপরওয়ালে নে দিয়া হ্যায়।’ অর্থাৎ আমি আমার পরিচালক, উপরওয়ালার কাছে কৃতজ্ঞ যিনি, আমি যা ভেবেছি, তার থেকেও আমাকে বেশিকিছুই দিয়েছেন।'