‘আমি জলঢোঁড়াও নই বেলে বোড়াও নই….’, এমনই সংলাপে নির্বাচনী প্রচারমঞ্চ মাতাচ্ছেন মহাগুরু মিঠুন চক্রবর্তী। রাজ্যের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে বিজেপির সাংসদ পদপ্রার্থীদের হয়ে প্রচার সারছেন মহাগুরু। তিনি ভোটে দাঁড়াবেন না, তবে দলের একনিষ্ঠ কর্মী হিসাবে ভোটপ্রচারে নিজেকে উজার করে দেবেন, আগেই জানিয়েছিলেন মিঠুন চক্রবর্তী। আরও পড়ুন-যে যত ব্যক্তি আক্রমণ করতে পারবে সে তত বড় তৃণমূল নেতা, কল্যাণকে কটাক্ষ মিঠুনের
সেইমতো বৃহস্পতিবারেও শ্রীরামপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী কবীর শঙ্কর বোসের হয়ে হাওড়ার ডোমজুড়ে প্রচার সারেন মিঠুন চক্রবর্তী। নাম না করেই কল্যাণকে কটাক্ষও করেন, তবে অসুস্থতার কারণে কল্য়াণের প্রাক্তন জামাইয়ের সমর্থনে ডানকুনি থেকে কোন্নগর পর্যন্ত রোড-শো করার কথা ছিল তাঁর। দু-পাশে কাতারে কাতারে ভিড় জমিয়েছিল উৎসুক জনতা। দলীয় কর্মী-সমর্থকদের ভিড় তো ছিলই, পাশাপাশি ডিস্কো ডান্সারের ভক্তরও অভাব ছিল না। কিন্তু শেষমেশ মিঠুন উপস্থিত না হওয়ায় হতাশ-ক্ষুব্ধ জনতা। অনেকেই গোটা ঘটনাকে ‘ভ্যাঁওতাবাজি’ বলে কটাক্ষ করেন।
সশরীরে হাজির না থাকলেও ‘মহাগুরু’ ফোনে বার্তা দেন সমর্থকদের উদ্দেশে। জানান, তাঁর শরীর মোটেই ভালো নেই। সকাল থেকে বেশ কয়েক বার, শরীরে ক্লান্তি নিয়েই বেশকিছু বৈঠক করেছেন তবে রোড শো আর করতে পারলেন না। কবীরের সমর্থনে ফের শ্রীরামপুর লোকসভা কেন্দ্রে প্রচারে আসার কথাও জানান তিনি। প্রসঙ্গত, আগামী ২০শে মে শ্রীরামপুর লোকসভা কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ।
দলীয় সমর্থকরা মিঠুনের অনুপস্থিতিকে মোটেই ভালোভাবে নেয়নি। সাফাই দিয়ে বিজেপি প্রার্থী বলেন, দু-দিন আগে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে এদিন দিনভর দুটো জনসভা করেছেন মিঠুন। অসুস্থতার জন্যই মিছিলে আর আসতে পারেননি। তবে আগামী চারদিনের মধ্যে তিনি নিশ্চিতভাবেই ফের আসবেন।
শ্রীরামপুর আসনে তিনবারের জয়ী সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর আস্থা মমতা-অভিষেকের। তাঁর বিরুদ্ধে বিজেপির তুরুপের তাস কল্যাণের প্রাক্তন জামাই। গত বছর লোকসভা ভোটে এই আসনে তৃণমূলকে কড়া টক্কর দিয়েছিল গেরুয়া শিবির, এবর এক ইঞ্চিও জমি ছাড়তে না-রাজ তাঁরা। বামেদের হয়ে এই আসনে লড়ছেন দীপ্সিতা ধর।
এদিন নাম না করেই কল্যাণকে আক্রমণ শাণিয়ে মিঠুন বলেন, ‘এখানকার তৃণমূল প্রার্থীকে দুর্গা মায়ের পুজো করতে করতে কাঁদতে দেখি। আর দুর্গা মায়ের স্বামী মহাদেবকে যখন এত অপমান করা হল তখন তাঁর মুখে একটা কথা শুনি না। আরেকজন আছেন, তিনি বললেন, কালী মা মদ খান, মাতাল। কিন্তু এনার চোখ দিয়ে এক ফোঁটা জল পড়ল না। কী অদ্ভূত ভালোবাসা এদের।'