বাংলা নিউজ > বায়োস্কোপ > RG Kar: ‘ক্ষতবিক্ষত করো যৌনাঙ্গ… অত্যাচার সহ্য করুক, তারপর ধর্ষকের ফাঁসি! আরজি কর দোষীর শাস্তি নিয়ে আওয়াজ তুললেন মিশমি
পরবর্তী খবর
অভয়ার দোষীদের শাস্তির বিচার চেয়ে গলা চড়িয়েছেন সামাজের নানা প্রান্তে থাকা মানুষেরা। যার মধ্যে সাধারণ মানুষ থেকে তারকা, সকলেই রয়েছেন। সকলেই চাইছে, চরম শাস্তি হোক ধর্ষকের। হোক ফাঁসি।
তবে শুধু ফাঁসির শাস্তিও যেন যথার্থ নয় এই ধর্ষকদের জন্য! অন্তত এমন মত অনেকেরই। এই নিয়ে ইনস্টাস্টোরিতেও একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন সকলে। আর তা নিজের ইনস্টাস্টোরিতে দিয়েছেন ছোট পর্দার অভিনেত্রী মিশমি দাসও।
আরও পড়ুন: আরজি কর-কাণ্ড নিয়ে রাস্তায় নামার ডাক ডোনার! কাদের বিশেষ করে আমন্ত্রণ সৌরভ-পত্নীর
মিশমি লিখলেন, ‘ফাঁসি? নাহ! ৯০ ডিগ্রিতে পা ভেঙে দাও। কলারবোন গুড়িয়ে দাও। এরপর ক্ষতবিক্ষত করো যৌনাঙ্গ। বাঁচিয়ে রাখো ধর্ষককে, এই নৃশংস অত্যাচারটা ভোগ করতে দাও। তারপর দাও ফাঁসি।’
আরও পড়ুন: ‘যদি না পিছনে বড় কারও সাপোর্ট…’! দাদা চুপ, আরজি কর কাণ্ডে রাখঢাকে না পল্লবীর
নির্যাতিতা চিকিৎসকের চূড়ান্ত ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এসেছে সোমবারে। যেখানে উল্লেখ আছে শরীরে ২৫ জায়গায় ক্ষত ছিল। তার মধ্য ১৬টি 'এক্সটার্নাল', ৯টি 'ইনটার্নাল'। রিপোর্ট অনুযায়ী, মাথা, গলা, হাত, যৌনাঙ্গে গভীর ক্ষত ছিল নিহত চিকিৎসকের। ময়নাতদন্তের যা রিপোর্ট তাতে মৃত্যুর আগে অসচেতন অবস্থায় ধর্ষণের ইঙ্গিত মিলছে। এছাড়া, নির্যাতিতার সারা দেহে একাধিক নখের আঁচড়, কামড়ের চিহ্নও পাওয়া যায়।
ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ অজয় গুপ্তকে উদ্ধৃত করে প্রতিবেদনে লেখা, নির্যাতিতার শরীরে এত আঘাতের চিহ্ন থাকলে একাধিক ব্যক্তি ঘটনার সঙ্গে জড়ি থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করা হয়।
আরও পড়ুন: মদ খেয়ে বেপরোয়া ড্রাইভিং! অভিনেতা সম্রাট মুখোপাধ্যায়ের গাড়ির ধাক্কায় আশঙ্কাজনক ১ বাইক আরোহী
সমাজের নানা অংশ থেকে ইতিমধ্যেই রাস্তায় নেমেছে বিচার চাই মিছিল। ১৪ অগস্ট গোটা বাংলা রাত জাগে।রাত দখল করে মহিলারা। এরপর থেকে টলিউড তারকা থেকে চিকিৎসকরা, বাংলার গায়করা একের পর এক জমায়েত করে বিচার চেয়ে এসেছেন।
শুধু তাই নয়, সরকারের তরফে ডার্বি বাতিল করা হলেও, সল্টলেকে জমায়েত হয়েছিল ইস্টবেঙ্গল আর মোহনবাগান। এমনকী যোগ দেয় মহামেডানও। এতদিনের যে টক্কর, তা ভুলে রাখির আগের দিন কাঁধে কাঁধ মিলিয়েছিল বাংলার ফুটবলপ্রেমীরা।
এদিকে মঙ্গলবারই অভয়ার মামলায় হস্তক্ষেপ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়ে পুলিশ-প্রশাসন। সঙ্গে আরজি করের ডাক্তারদেরও কাজে ফেরার অনুরোধ করা হয়েছে।