‘লক আপ’-এ হল এক অভাবনীয় মোড়। কঙ্গনা রানাওয়াত নিজের জীবনের এমন এক গোপন কথা ফাঁস করলেন এই রিয়েলিটি শো-তে যে, ভাষা হারালেন প্রতিযোগীরা। প্রসঙ্গত, এই ‘লক আপ’ শো-র মূল আকর্ষণই হল তারকাদের জীবনের গোপন কথা, যা কেউ জানে না, তা সামনে আসা। চলতি সপ্তাহের ‘জাজমেন্ট ডে’র দিন কঙ্গনা আর মুনাওয়ার তাঁদের জীবনের এমন এক না জানা দিক তুলে ধরলেন, যা শুনে আপনার মুখ হাঁ হবেই!
ও হ্যাঁ, তার আগে বলে দেই শেষ দুইয়ে থাকা পুনম পাণ্ডে আর আলি মার্চেন্টের মধ্যে থেকে পুনমকেই ‘লক আপ’-এ রাখার সিদ্ধান্ত নেন কঙ্গনা। সুতরাং, বেরিয়ে যেতে হয় আলিকে। আরও পড়ুন: হৃতিক রোশন বিতর্কে সরব কঙ্গনা, ‘বিবাহিত পুরুষদের আকর্ষণই আলাদা, ওরা…’
সায়েশা সিন্ডেকে বাঁচাতে নিজের সাথে হওয়া যৌন নিগ্রহের কথা তুলে ধরেন মুনাওয়ার ফারুকি। জানান, নিজের পরিবারের দুই সদস্যের দ্বারাই যৌন হেনস্থার শিকার হয়েছিলেন তিনি। শুধু তাই নয়, ওদের হাতে প্রায় পাঁচ বছর ধরে নিগৃহিত হয়েছিলেন মুনাওয়ার। তাঁর বয়স যখন ৬ বছর তখন এসব শুরু হয়েছিল, আর চলেছিল ১১ বছর বয়স অবধি। এই কমেডিয়ান আরও বলেন, তখন এতটাই ছোট ছিলেন যে কিছুই বুঝতেন না। একদিন ওই আত্মীয় বারাবারি করে বসেন, তখনই হয়তো তাঁরা বোঝে এবার তা বন্ধ করা উচিত। এই নিয়ে পরিবারের সাথে এর আগে কখনও কথা বলেননি মুনাওয়ার।
কঙ্গনা এসব শুনে জানান, ‘প্রতি বছরই ছোট বাচ্চাদের উপর এই ধরনের নিগ্রহ চলছে। আর এটা খুব ভালো একটা প্ল্যাটফর্ম এই নিয়ে কথা বলার জন্য। এমনকী আমার সাথেও এরকম হয়েছে। আমি তখন ছোট ছিলাম। আমাদের ওখানে একটা ছেলে ছিল, যে আমার থেকে একটু বড়। আমাকে খারাপভাবে স্পর্শ করত। আমি তখন এসব বুঝতামও না।’
কঙ্গনা জানান, ‘ছেলেটি তখন যৌনতা বুঝতে শিখেছে। আমরা ৬ বছরের। আমাদের ডেকে জামা-কাপড় খুলতে বলত। তারপর আমাদের খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখত। ’