খুনের ঘটনায় গ্রেফতার অভিনেতা! চাঞ্চল্য কন্নড় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে। মঙ্গলবার বেঙ্গালুরু পুলিশ একটি হত্যা মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য জনপ্রিয় অভিনেতা দর্শন থুগুদীপাকে গ্রেফতার করেছে। জানা গিয়েছে, দর্শনকে তাঁর মাইসুরুর ফার্মহাউস থেকে আটক করে পুলিশ,সেখান থেকে বেঙ্গালুরুতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
সূত্রের খবর, চিত্রদুর্গের বাসিন্দা খুন হওয়া ব্যক্তি। গত ৯ই জুন কামাক্ষীপালা পুলিশ থানার অন্তর্গত একটি খাল থেকে উদ্ধার হয় ৩৩ বছর বয়সী রেণুকা আচার্যের মরদেহ। বেঙ্গালুরুর পুলিশ কমিশনার বি দয়ানন্দ জানিয়েছেন, দর্শনকে বর্তমানে তদন্তকারী অফিসাররা জিজ্ঞাসাবাদ করছেন। কমিশনার দয়ানন্দ হিন্দুস্তান টাইমসকে জানিয়েছেন, ‘৯ জুন কামাক্ষিপালায়া থানায় দায়ের করা একটি হত্যা মামলায় কন্নড় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির (দর্শন) এক অভিনেতাকে আটক করা হয়েছে এবং বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। নিহত ব্যক্তি চিত্রদুর্গের বাসিন্দা। তার বয়স আনুমানিক ৩৩ বছর। নাম রেণুকা আচার্য’। বৃহত্তর তদন্তের অংশ হিসেবে এই ঘটনায় অভিনেতার নিরাপত্তাকর্মী-সহ ১০ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
মরদেহের শরীরে যে ক্ষতচিহ্ন রয়েছে তাতে স্পষ্ট খুনই হয়েছে সে। ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ, প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান এবং অনান্য টেকনিক্য়াল প্রমাণের ভিত্তিতেই গ্রেফতার করা হয়েছে অভিনেতাকে।
পুলিশ জানিয়েছে, অভিনেতার স্ত্রীকে অশ্লীল মেসেজ পাঠাচ্ছিল খুন হওয়া রেণুকা আচার্য, তার জেরেই নাকি প্রাণ গেছে তার। যদিও আরেক সূত্র বলছে, অভিনেতার স্ত্রী নয়, অভিনেত্রী পবিত্রা গোধার গিয়েছিল সে-সব মেসেজ। এই মুহূর্তে নাকি পবিত্রার সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে রয়েছেন দর্শন। ফার্মেসিতে কাজ করত নিহত যুবক। পবিত্রাকে সোশ্যাল মিডিয়ায় মেসেজ করে প্রায়ই উত্যক্ত করতে যুবক, তার জেরেই গিয়েছে প্রাণ।
খবর, পুলিশের হাতে নাকি প্রমাণ রয়েছে দর্শনের নির্দেশেই খুন করা হয়েছে রেণুকাকে। দর্শন ঘনিষ্ঠর গ্যারেজে অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয় তাঁকে, এরপর লাশ খালে ফেলে দেওয়া হয়।
দর্শনের স্ত্রীর নাম বিজয়লক্ষ্মী। ২০০০ সালে বিয়ে হয় তাঁদের। বউ পেটানোর অভিযোগে ২০১১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে গ্রেফতার হয়েছিলেন অভিনেতা। সেই সময় হাজতবাস করতে হয় দর্শনকে। পড়ে সমঝোতা করেন স্বামী-স্ত্রী। কন্নড় ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম হায়েস্ট পেইড অভিনেতা দর্শন। এর আগেও বহুবার আইন ভাঙার অভিযোগ উঠেছে তাঁর নামে।