‘কালী’ তথ্যচিত্রের পোস্টার নিয়ে বিতর্ক থামছে না। টুইটার সেই পোস্টার মুছে দিয়েছে, ‘আগা খান' মিউজিয়াম থেকেও সরিয়ে ফেলা হয়েছে পরিচালক লীনা মনিমেকালাই-এর তথ্যচিত্রের পোস্টার। তবুও সেই পোস্টার নিয়ে হেনস্থার শেষ নেই পরিচালকের।
দেবীরূপী এক বহুরূপী দক্ষিণ ভারতীয় ফিল্মমেকার লীনা মনিমেকালাই-এর তথ্যচিত্রের পোস্টারে দেখানো হয়েছে। সেই নিয়েই শুরু যাবতীয় বিতর্কের। পরিচালকের বিরুদ্ধে হিন্দুদের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত হানার অভিযোগ উঠেছে। দেশের একাধিক রাজ্যে লীনার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছে, জারি হয়েছে লুক আউট নোটিশ। এই সব বিতর্কের মাঝেই সরাসরি ধর্ষণের হুমকি পেলেন লীনা। ইস্টাগ্রামে এক ব্যক্তি সরাসরি লীনার উদ্দেশে লেখেন, ‘গরম লোহার রড তোমার শরীরের ভিতরে ঢোকানো উচিত!’
সেই স্ক্রিনশট সোশ্যালে শেয়ার করে নেন লীনা। তাঁর পালটা প্রশ্ন, ‘এই লোক কী ভাবে ‘হিন্দু’ হতে পারে? কী ভাবে এই লোকের মনে ‘বিশ্বাস’ থাকতে পারে? কী ভাবে এই লোকটির ‘অনুভূতি’ থাকতে পারে? কী ভাবে একটি ছবির পোস্টার তাকে ‘আঘাত’ করতে পারে? কারণ, সে এক জন নারীকে প্রকাশ্যে ধর্ষণের হুমকি দিচ্ছে।’ দিল্লি পুলিশ, লখনউ পুলিশ, গুয়াহাটি পুলিশের উদ্দেশেও তাঁর প্রশ্ন, ‘আপনারা কি এই লোকটিকে আমার উপর আক্রমণ করতে এবং আমাকে অনুসরণ করার অনুমতি দিয়েছেন?

দিন কয়েক আগেই পোস্টার-বিতর্কে পরিচালকের বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিশ জারি করেছে মধ্যপ্রদেশ পুলিশ। রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নরোত্তম মিশ্রের মতে, ওই পোস্টার ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করেছে। তাই উচিত পদক্ষেপ নিয়েছে পুলিশ। যদিও 'শিল্পী' লীনা এই নিয়ে চিন্তিত নন।
টুইটারে তিনি লেখেন, ‘এফআইআর… সবগুলো নিয়ে এসো! ‘লুক আউট নোটিশ’- সেটা কোথায়? 'মণ্ডুচ্ছেদের হুমকি'- আমার তো একটাই মাথা। আমি শিল্পী, আমি সৃষ্টি করি। সহনশীলতা আমরা ভাষা। আমার কাছে অনেক বেশি ক্ষমতা ওইসব ঘৃণায় ভরপুর চাকরদের থেকে। আমি জানি আমার পাশে, আমার শিল্পের পাশে অনেক বেশি মানুষ আছে, এই সব ধর্মান্ধ মানুষদের চেয়ে'।