লেখালিখি ছেড়েছেন বেশ কিছুদিন। জানিয়েছেন আর কবিতার বই প্রকাশ করবেন না। এবার বাংলার জনপ্রিয় কবি জয় গোস্বামী ধরা দিলেন ক্যামেরার সামনে।জানা গিয়েছে একটি শর্ট ফিল্মে অভিনয় করেছেন জয় গোস্বামী।
আরও পড়ুন: শাহরুখের পড়শি হতে চললেন রণবীর-দীপিকা! মেয়েকে নিয়ে কবে শিফট করছেন ১০০ কোটির নতুন বাড়িতে?
শর্ট ফিল্মে অভিনয় করলেন জয় গোস্বামী
কবি জয় গোস্বামী লেখালিখি ছাড়লেও এবার অভিনয় করলেন। এই শর্ট ফিল্মটি দেখা যাচ্ছে নিবেদিতা দে অনলাইন নামক ইউটিউব চ্যানেলে। জয় গোস্বামী অভিনীত এই শর্ট ফিল্মটি ১৪ মিনিট দৈর্ঘ্যের। জর্জ টেলিগ্রাফ ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউটের ছাত্র ছাত্রীরা এই শর্ট ফিল্মের পরিচালনা করেছেন। তাঁরা তাঁদের প্র্যাক্টিক্যালের জন্য এই ছবিটি বানিয়েছেন।
শর্ট ফিল্মে অভিনয় করার বিষয়ে কবি এই সময়কে জানিয়েছেন, উক্ত প্রতিষ্ঠানের একজনের সঙ্গে তাঁর পরিচয় আছে। তিনি অনুরোধ করেন তাঁকে এই কাজ করতে। এরপর ছাত্র ছাত্রীরা তাঁকে ছবির গল্প শোনালে তাঁর সেটা পছন্দ হয় এবং রাজি হন তিনি।
কবি জানিয়েছেন এই কাজ করে তাঁর ভালো লেগেছে। কিন্তু আগামীতে কি তাঁকে আবারও অভিনয়ে দেখা যাবে? এই বিষয়ে জয় গোস্বামীর উত্তর, 'অভিনয় খুব পরিশ্রমের কাজ। শারীরিক কারণে অনেক কিছু করতে পারি না আমি। তাই আগামীতে মনে হয় না অভিনয় করতে পারব।'
আরও পড়ুন: 'আমরা যে সিনেমা করি তাতে ইন্ডাস্ট্রি চলবে না' বক্স অফিসে ব্লকবাস্টার হিট খাদান, তাও কেন এমন বললেন যিশু?
বেণীমাধব এবং গৌতম হালদার বিতর্কে কী বলেছিলেন জয় গোস্বামী?
সম্প্রতি কবি জয় গোস্বামী হাজির ছিলেন অরিজিৎ চক্রবর্তীর পডকাস্ট শোতে। সেখানেই তাঁকে জিজ্ঞেস করা হয় গৌতম হালদারের বেণীমাধব কবিতা পাঠ এবং ট্রোল নিয়ে তাঁর কী বক্তব্য? জবাবে বেণীমাধব কবিতার স্রষ্টা বলেন, 'আমি এটা দেখিনি। আমার ফেসবুক নেই। তবে আমি আমার মেয়ের কাছে একটা শব্দ শিখেছি সেটাকে বলে ট্রোল করা। ট্রোলিং। গৌতম হালদারকে এই কবিতা পাঠ করার জন্য ট্রোল করা হয়েছে, যদিও আমি সেটা শুনিনি। তবে, আমি নান্দিকারের একটি নাটক দেখেছিলাম রুদ্র প্রসাদ সেনগুপ্তর নির্দেশনায়, নাটকটি ভারী অদ্ভুত। এই শহর এই সময় নাম ছিল। কবিতার পর কবিতা গেঁথে সেই নাটক তৈরি হয়েছিল। সেখানে গৌতম হালদার অনেকগুলো কবিতা বলেছিলেন, তার মধ্যে একটা কবিতা আমার ছিল।' তিনি আরও বলেন, 'আমার উন্মাদের পাঠক্রম বইটি আমার মায়ের মৃত্যুর পর লিখেছিলাম। সেখানে উৎসর্গ কবিতাটি শ্মশান বন্ধুদের উৎসর্গ করেছিলাম। এই কবিতাটি গৌতম হালদার স্টেজে এমন ভাবে পড়েছিলেন আমার মনে হচ্ছিল যে এই কবিতার মধ্যে বীরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্রের মহালয়ার সময় স্তোত্র পাঠের কোনও সম্ভাবনা লুকিয়ে আছে সেটা আমি বুঝিনি। কিন্তু সেটাকে যে গায়ে কাঁটা দেওয়ার মতো অমন একটা জায়গায় নিয়ে যাওয়া যায় সেটা গৌতম হালদার দেখিয়েছিলেন।