বলিউডের অন্যতম নামজাদা জুটি জাভেদ আখতার ও শাবানা আজমি। ভালোবেসে পরস্পরের হাত ধরেছিলেন তাঁরা। ১৯৮৪ সালের ৯ই ডিসেম্বর গাঁটছড়া বাঁধেন দুজনে। শোনা যায়, আলাদা থাকলেও তখনও হানি ইরানির সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়নি জাভেদের। দুই সন্তান (ফারহান-জোয়া), স্ত্রী হানি ইরানির সঙ্গে ১২ বছরের দাম্পত্য ভুলে নতুন সংসার পেতেছিলেন চিত্রনাট্যকার, কাহিনীকার, কবি, গীতিকার জাভেদ আখতার। আরও পড়ুন-'আমার মতো বেহেড মাতালকে ও...' মদের নেশার জন্য ভেঙেছে প্রথম বিয়ে, জাভেদকে কী করে সামলেছিলেন শাবানা?
চার দশকের সফল দাম্পত্য দুজনের। এই বছরই একসঙ্গে পথচলার ৪০ বছর পূর্ণ করবেন জাভেদ-শাবানা। তাঁদের সামঞ্জস্যপূর্ণ সম্পর্ক অনেকের কাছেই উদাহরণ। তবে জানেন এই সফল বিয়ের কারণ হিসাবে কী ব্যাখ্যা দিয়েছেন শাবানা আজমি? বর্ষীয়ান অভিনেত্রী বলেন, ‘উনি বলেন আমাদের বিয়েটা সফল কারণ আমাদের দুজনের দেখা-সাক্ষাৎ খুব কম হয়। দুজনে নিজের নিজের কাজ নিয়ে ব্যস্ত, ভিন্ন দিকে ছুটে চলেছি সমানে’।
অভিনেত্রী আরও বলেন, তাঁদের দুজনের বেড়ে ওঠা একই পরিবেশে। তাঁদের বাবারা উত্তরপ্রদেশের মানুষ এবং কবি। কমিউনিজমের আদর্শ নিয়ে বড় হয়েছে দুজনেই। সুতরাং তাঁদের সম্মন্ধ করে বিয়ে হওয়া উচিত ছিল। কিন্তু বাস্তবটা একদম উলটো! ভালোবেসে বিবাহিত , দুই সন্তানের বাবা জাভেদের হাত ধরেছিলেন শাবনা, সেই হাতটা আজও শক্ত করে ধরে রয়েছেন তিনি।
জাভেদ আখতারের কথায়, ‘শাবানা আমার সবচেয়ে কাছের বন্ধু ছিল। বিয়ের এত বছর পরেও সেই বিষয়টা বদলায়নি। এটাই আমাদের হ্যাপি ম্যারেজের সিক্রেট’।
শারীরিক অসুস্থতার জেরেই কোনওদিন সন্তানধারণ করতে পারেননি শাবানা আজমি। এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানিয়েছিলেন, এটি তাঁকে ‘কষ্ট’ দিয়েছে তবে কঠিন সময়ে সবসময় জাভেদ পাশে থেকেছেন। কাজ এবং স্বামীর ভালোবাসা দিয়েই সবটা সামলেছিলেন তিনি। শাবনার বিশ্বাস, ‘সবার জীবনে সবকিছু থাকতে পারে না।’ দাম্পত্য সঙ্গী জাভেদ আখতারের সমর্থনেই জীবনের সেই কঠিন সময় পার করে এসেছেন শাবানা।
পাশাপাশি জাভেদের প্রথম পক্ষের দুই সন্তান ফারহান ও জোয়ার সঙ্গেও শাবানার বন্ধন মজবুত। তাঁরাও সন্তান না থাকার যন্ত্রণা অনেকটা লাঘব করেছেন। ভালোবাসায় ভরিয়ে রেখেছেন সৎ মা-কে।
অতিরিক্ত মদ খাওয়া জন্য হানি ইরানির সঙ্গে বিয়ে টেকেনি জাভেদের। শাবনাকেও রীতিমত জাভেদের মদের নেশার সঙ্গে লড়াই করতে হয়েছে। তবে বন্ধুত্ব আর পারস্পরিক বোঝাপড়ায় ভর দিয়েই দাম্পত্য জীবনের ৪০ টা বছর হাসিমুখে কাটিয়ে ফেলেছেন তাঁরা। বাকি জীবনটাও এইভাবেই জুড়ে থাকতে চান দুজনে।