দুই সুপারস্টারের কন্যে। বড়ও বলিউডের নামী সুপারস্টার, তবে আক্ষরিক অর্থে কোনওদিন সফল নায়িকা হতে পারেননি টুইঙ্কল খান্না। রাজেশ-ডিম্পল কন্যা খেলার ছলে অভিনয়ের জগতে এসেছিলেন। শর্তে হেরে অক্ষয় কুমারকে বিয়ে করে চিরকালের মতো অভিনয় কেরিয়ারে ইতি টানেন। তবে টুইঙ্কল একজন সফল লেখিকা, কলমনিস্ট। আরও পড়ুন-‘আমি ক্ষমা চাইছি…’, নেটপাড়ায় ভাইরাল হিরণের ‘মোয়ো মোয়ে’ মূহূর্ত, জবাব দিলেন BJP প্রার্থী!
৪৮ বছর বয়সে লন্ডনের নামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফিকশন রাইটিং-এ স্নাতকত্তোর ডিগ্রি লাভ করেছেন টুইঙ্কল। নিজের জগতে সুপারস্টার টুইঙ্কল। মিসেস ফানিবোনস তাঁর সাম্প্রতিক লেখণীতে তুলে ধরেছেন মাতৃত্বের বদল নিয়ে দু-চার কথা।
সুপারস্টার মায়ের মেয়ে হওয়ার জেরে সবসময় ছেলেবেলায় ডিম্পলকে কাছে পাননি টুইঙ্কল। তবুও পাতের দু-টো রুটি যেন মেয়েরা শেষ করে এবং তাঁদের মাথার বিনুনি যেন সঠিকভাবে বাঁধা থাকে, তা নিশ্চিত করতে ভুলতেন না ডিম্পল। টাইমস অফ ইন্ডিয়ার জন্য লেখা সেই কলমে অক্ষয় ঘরণী আরও লেখেন, দুই সন্তান আরভ ও নিতারার জন্য তিনি একাই একশো।
মা হওয়ার সুবাদে হাজারটা দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে তখন তিনি সন্তানদের থেরাপিস্ট, কখনও ইভেন্ট প্ল্যানার, কখনও স্টাইলিস্ট, কখনও আবার শিক্ষক। মাঝেমধ্যে মোটিভেশন্যাল কোচ কিংবা পুষ্টিবিদের দায়িত্বও হাসিমুখে পালন করতে হয় তাঁকে।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদলাচ্ছে শৈশব। আশি বা নব্বইয়ের দশকে বেড়ে ওঠা ছেলেমেয়েদের সঙ্গে আজকের জেন আলফাদের কোনও মিল নেই। মর্ডান মাদারহুড এবং জেন্টাল পেরেন্টিং নিয়ে বিস্তারিত কথা বলেছেন টুইঙ্কল। তাঁর কথায়, এখনকার মায়েদের বড় দায়িত্ব হল ছেলেমেয়েরা যাতে স্ক্রিনে (মোবাইল বা টিভি কিংবা ল্যাপটপ) কম সময় দেয় তা নিশ্চত করা। তাঁর মাকে কোনওদিন এইসব নিয়ে ভাবতে হয়নি। মেয়েবেলায় কোল্ড ড্রিঙ্কসের বোতলের ছিপি জড়ো করতেই ব্যস্ত থাকতেন তিনি লিখেছেন টুইঙ্কল।