৪৩ বছর বয়সে মা হন ফারহা খান। তবে প্রাকৃতিকভাবে গর্ভবতী হতে পারেননি। চিকিৎসাবিজ্ঞানের অন্যতম বরদান, আইভিএফের সাহায্যে সন্তানসুখ লাভ করেছিলেন তিনি।
৪০-এ বিয়ে! প্রেগন্যান্ট হতে IVF-এর সহায় হন, মা হতে দিনে ৫টা ইঞ্জেকশন নিতেন ফারহা
৯ জানুয়ারি পরিচালক-কোরিওগ্রাফার ফারাহ খান তাঁর ৬০ তম জন্মদিন সেলিব্রেট করলেন। মন খুলে বাঁচতে ভালোবাসেন মেয় হুঁ না পরিচালক, তার জন্য এটা সিনিয়র সিটিজেন হওয়া নয়, বরং 'সুইট সিক্সটি' প্রবেশ করেছেন তিনি। সম্প্রতি ‘দ্য দেবিনা ব্যানার্জি শো’ হাজির হয়েছিলেন ফারহা, সেখানে নিজের মাতৃত্বের জার্নি নিয়ে খোলামেলা কথা বলেন পরিচালক। ৪২ বছর বয়সে আইভিএফের মাধ্যমে অন্তঃসত্ত্বা হয়েছিলেন ফারহা। তাঁর অভিজ্ঞতার মাধ্যমে, তিনি স্বাস্থ্যকর শিশুদের প্রসবের জন্য ভাল পুষ্টি এবং ডায়েটের গুরুত্ব তুলে ধরেছিলেন।
চল্লিশের কোঠায় এসে মাতৃত্বকে স্বাগত জানিয়েছেন ফারহা। তিনি বলেন যে দেরিতে বিয়ে করার কারণে মা হওয়ার সম্ভবনা প্রায় শেষ হতে বসেছিল। ৪০ বছরে পা দেওয়ার এক মাস আগে বয়সে ছোট শিরিশ কুন্দরকে বিয়ে করেছিলেন ফারহা। ২০০৮ সালে আইভিএফের মাধ্যমে একসঙ্গে তিন সন্তানের জন্ম দেন ফরহা খান। তখন তাঁর বয়স ছিল ৪৩ বছর।
ফারহা জানান, প্রথম দু-বছর স্বাভাবিক পদ্ধতিতে মা হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন কিন্তু ব্যর্থ হন। পরে এক বন্ধুর পরামর্শে আইভিএফ স্পেশ্যালিস্ট এক চিকিৎসকের কাছে পৌঁছান। তবে সহজ ছিল না সেই জার্নি। প্রথম তিনটি ঋতুচক্রের পর অন্তঃসত্ত্বা হন ফারহা। একবার তো চিকিৎসকের ক্লিনিকে কেঁদে ফেলেছিলেন তিনি। দিনে পাঁচটা ইঞ্জেকশন নিতে হত তাঁকে। ২০০৮ সালেও আইভিএফের মাধ্যমে মা হওয়ার কথা গোপন করেননি ফারহা, বোঝাতে চেয়েছিলেন এটি 'অবৈধ' কিছু নয়। বরং মা হতে চান যে সব মহিলারা, এটা তাঁদের কাছে আর্শীবাদ। এটা কোনও খামতির বহিপ্রকাশ নয়।