শুক্রবার দুপুর ২:২০ মিনিট নাগাদ কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে মারা যান কবি রাহুল পুরকায়স্থ। মৃত্যুর সময় তাঁর ৬০ বছর। কবির মৃত্যুতে খুব স্বাভাবিকভাবেই সাহিত্য জগতে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
পরিবার সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন তিনি। কিন্তু পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় তাঁকে ভর্তি করানো হয় হাসপাতালে। অবশেষে একাধিক অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বিকল হয়ে যাওয়ায় না ফেরার দেশে চলে গেলেন তিনি।
আরও পড়ুন: এই প্রথম বাংলা ছবিতে অভিনয় করবেন শরমন যোশি, বিপরীতে দেখা যাবে কোন নায়িকাকে?
আরও পড়ুন: 'ও পাগল করে দিয়েছে...', রাজনৈতিক মতভেদ সরিয়ে রুদ্রনীলের প্রশংসায় পঞ্চমুখ দেব
কবি প্রসঙ্গে
শ্রীহট্ট জেলায় পৈত্রিক ভিটে থাকলেও তিনি ছোট থেকেই বড় হয়েছেন বেলঘড়িয়ায়। খুব অল্প বয়স থেকেই তিনি শুরু করেন কবিতা লেখা। প্রথম বই ‘অন্ধকার’। ২০ টি প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ রয়েছে কবির, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ‘আমার সামাজিক ভূমিকা’, ‘ও তরঙ্গ লাফাও’, ‘নেশা এক প্রিয় ফল’।
আরও পড়ুন: ৩ যোদ্ধার কাহিনি নিয়ে আসছে ‘ওয়ার ২’, মুক্তি পেল ছবির ট্রেলার
আরও পড়ুন: মহানায়ক সম্মানে সম্মানিত রূপঙ্কর-ইমন-গার্গী, তালিকায় রয়েছেন আর কারা?
কবিতা নেশা হলেও তিনি পেশাগতভাবে ছিলেন একজন সাংবাদিক। প্রথমে জি ২৪ ঘন্টা, পরবর্তী সময়ে টিভি নাইন বাংলার কনসাল্টিং এডিটর ছিলেন তিনি। তবে পেশায় সাংবাদিক হলেও তিনি মনে প্রাণে ছিলেন একজন কবি।
কবিতায় অনন্য অবদানের জন্য তিনি পেয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গ কবিতা একাডেমি সুভাষ মুখোপাধ্যায় সম্মাননা। তাঁর বহু কবিতার অনুবাদ হিন্দিতে এবং ইংরেজিতে হয়েছে পরবর্তী সময়ে। কবি চলে গেলেন ঠিকই, কিন্তু রেখে গেলেন তাঁর এমন কিছু অমর সৃষ্টি যা কখনও পুরনো হবে না।