বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় নাম দীপক তিজোরি। সম্প্রতি তিনি অভিনেত্রী অমৃতা সিং-কে নিয়ে এমন কিছু মন্তব্য করেন, যা জায়গা করে নেয় সংবাদের শিরোনামে। দীপক জানিয়েছিলেন, কেরিয়ারের শুরুতে একবার নাকি সইফ তাঁকে সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছিল, তবে সেই সময় স্বামীকে (সইফের প্রথম স্ত্রী, তখনো হয়নি ডিভোর্স) আটকান অমৃতাই।
তবে এবার দীপকের দাবি, তাঁর বলা কথাকে ভুলভাবে প্রকাশ করা হয়েছে। তিনি একটি নতুন সাক্ষাৎকারে বললেন, ‘আমি সম্প্রতি এমন কিছু বলেছি যা ভুলভাবে প্রকাশিত হয়েছে। আমাকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে, আমি কীভাবে ‘পহেলা নাশা’ ছবির প্রিমিয়ার দৃশ্যের জন্য এত অভিনেতাকে পেয়েছিলাম । আমি উত্তর দিয়েছিলাম, 'আমরা সবাই বন্ধু ছিলাম। তাই, আমরা একে অপরকে সবরকমভাবে সমর্থন করেছি'।’
আরও পড়ুন: মে মাস থেকেই দু-দুটো নতুন রিয়েলিটি শো জি বাংলায়, টিআরপি বাড়াতে কোনগুলো শেষ করা হবে?
অমৃতা ও সইফকে নিয়ে তাঁর বক্তব্য পরিষ্কার করে তিনি বলেন, ‘আমি বলেছিলাম সাইফ আলি খান যখন প্রস্তুত হচ্ছিলেনল (পহেলা নাশা-র প্রিমিয়ার দৃশ্যটি শ্যুটের জন্য), তখন অমৃতা সিং তাঁকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, তিনি কোথায় যাচ্ছেন। জবাবে তিনি বলেছিলেন, 'দীপকের ছবির প্রিমিয়ার দৃশ্যের শুটিং করতে যাচ্ছি'। এতে অমৃতা উত্তর দেন, 'কেয়া বাত হ্যায়। তোমাদের প্রজন্মের অভিনেতারা আলাদা। আমরা কখনোই একে অপরকে এমনভাবে সমর্থন করিনি। আপনাদের বন্ধুত্বকে সম্মান করতেই হবে'। এই আমার উদ্ধৃতি ছিল। কিন্তু অমৃতা সাইফকে প্রিমিয়ারে যেতে বাধা দেন বলে সেই খবর প্রকাশিত হয়। আমি ওটা কখনোই বলিনি। সাইফ, আমার এবং অন্যান্য অভিনেতাদের মধ্যে বোঝাপড়া দেখে অবাক হয়েছিলেন অমৃতা। তাঁর সময়ে, তাঁরা একে-অপরকে সাহায্য করতেন না।’
এরপর অমৃতা সিংয়ের প্রশংসা করে, দীপক তিজোরি উল্লেখ করেছেন, ‘অমৃতা একজন চমৎকার নারী। একজন অভিনেতা হিসেবে তিনি সবসময়ই সবার সহযোগিতা করেছেন। আমি তার সঙ্গে হয়তো কাজ করিনি। যাই হোক, আমাদের জন্য, তার প্রথম চলচ্চিত্র বেতাব (১৯৮৩) ছিল আইকনিক। আমি ওটা অন্তত একশ বার দেখেছি।’
‘সেদিন সকালে উঠে যখন খবরটা পড়ি, আমি খুব কষ্ট পেয়েছিলাম। খারাপ লেগেছিল এভাবে একটা কথা প্রকাশ করা হল বলে’, আরও জানান দীপক।
পহেলা নশা ছবি সম্পর্কে:
১৯৯৩ সালে আশুতোষ গোয়ারিকরের পহেলা নশা ছবিতে অভিনয় করেছিলেন দীপক। সেই ছবির একটি দৃশ্যে ছিল সিনেমায় দীপকের যে চরিত্রে, তার সিনেমা দেখতে প্রিমিয়ারে আসছে বলিউডের তারকারা। যাতে শাহরুখ, সইফরা ভাগ কেমিও করেছিলেন।