সেলিব্রিটি মাস্টারশেফের সর্বশেষ পর্বে শেফদের ওয়ান-পট চ্যালেঞ্জ দেওয়া হয়েছিল। শেফ রণবীর ব্রার, হোস্ট ফারাহ খান এবং অতিথি শেফ কুণাল কাপুর ওয়ান পট চ্যালেঞ্জে সেলিব্রিটি মাস্টারশেফ ফয়জল শেখ ওরফে ফইজুর তৈরি খাবার এবং তাঁর খাবার সাজানোর দক্ষতা দেখে মুগ্ধ হযন। ফাইজুর খাবার সাজানোর স্টাইল দেখে শেফ কুণাল তাঁকে জিগ্গেস করেন যে তিনি কোনও পেশাদার কোর্স করেছেন কিনা? ফাইজু বলেন, সম্ভবত তিনি এই ডিজাইনিং-এর দক্ষতা তাঁর বাবার কাছ থেকে পেয়েছেন।
ঠিক কী ঘটেছে ফয়জল শেখের সঙ্গে?
ফাইজুর খাবার সাজানোর স্টাইল দেখে কুণাল কাপুর জানতে চান, তিনি কি কোনও কোর্স অফ প্রেজেন্টেশন করেছেন? এর উত্তরে ফাইজু বলেন, 'আমি কোনো কোর্স করিনি। আমার বাবা একজন কারিগর ছিলেন। তিনি নাইটি তৈরি করতেন, তাই তিনি এতে নকশা তৈরি করতেন। দিনে ৪৫০টি নাইটি সেলাই করতেন তিনি। তিনি এতটাই ভালো শিল্পী ছিলেন যে লোকেরা তাঁর কাছ থেকেই কাপড় সেলাই করত। আমি মনে করি আমি আমার এই ডিজাইনিং দক্ষতা বাবার কাছ থেকেই পেয়েছি।
ফয়জুর উত্তরে খুশি হয়ে কুণাল কাপুর বলেন, ‘আমি যদি আপনার অগ্রগতির কথা বলি, সেটা আপনার খাবারে প্রলেপ দেওয়া ও প্রেজেন্টেশন সম্পর্কে উপলব্ধি ও দক্ষতা। আপনি বলছেন যে আপনি এটি সহজাত ভাবে পেয়েছেন তাহলে আমি বলব, আপনি ভাগ্যবান। মানুষ পরিশ্রম করে। আমিও উপস্থাপনার জন্য অনেক পরিশ্রম করেছি।’
আরও পড়ুন-সদ্য মা হয়েছেন মানসী সেনগুপ্ত, হাসপাতালে হাজির ছোট্ট দিদি তুহু, ভাইকে দেখে কী বলল সে?
এর আগে হোলির স্পেশাল একটি পর্বে ফাইজুর তৈরি একটি বিশেষ মেনুতে মুগ্ধ হয়েছিলেন বিচারকরা। সেই পর্বে শেফ জোরাওয়ার কালরা তাঁর তৈরি সেই খাবারে এতটাই মুগ্ধ হয়েছিলেন যে তিনি প্রতি বছর তাঁর একটি নামী রেস্তোরাঁয় হোলির মেনুতে এটি অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনা ঘোষণা করেন।
প্রসঙ্গত, এর আগে সেলিব্রিটি মাস্টারশেফ ‘ঝলক দিখলা জা’ এবং ‘খতরোঁ কে খিলাড়ি’ ১২ এর মতো রিয়েলিটি শোয়ের প্রতিযোগী ছিলেন।
এই মুহূর্তে সেলিব্রিটি মাস্টারশেফ প্রতিযোগিতায় ফাইনালের দিকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য শেফদের মধ্যে প্রতিযোগিতা চলছে। আর এই দৌড়ে রয়েছেন গৌরব খান্না, তেজস্বী প্রকাশ, নিক্কি তাম্বোলি, রাজীব আদাতিয়া, ফয়জল শেখ, অর্চনা গৌতম এবং ঊষা নাদকার্নি।