সেই ফেলে আসা ক্লাসরুম, সেই হল ঘর, সেই বেঞ্চ, সেই ব্ল্যাকবোর্ড। বড় হয়ে যাওয়ার পর, জীবনে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর হঠাৎ করেই নিজের স্কুল জীবনে ফিরে গেলে যে কেউ হয়তবা আবেগতাড়িত হয়ে পড়বেন। ঠিক যেমনটা হল অভিনেত্রী রুক্মিণী মৈত্রর সঙ্গে। দীর্ঘ ১৬ বছর পর, নিজের সেই পুরনো স্কুলে ফিরলেন রুক্মিণী। সৌজন্যে, তাঁর নতুন ছবি 'বিনোদিনী: এক নটীর উপাখ্যান'।
কিন্তু কোন স্কুলে পড়তেন রুক্মিণী? ডাকুরিয়া সংলগ্ন কারমেল কনভেন্ট স্কুলের ছাত্রী ছিলেন পর্দার 'বিনোদিনী'। এখন অবশ্য তিনি প্রাক্তনী। তিনি যখন ছাত্রী, সেসময় একদিন সানিয়া মির্জা এসেছিলেন রুক্মিণীর স্কুলে। স্কুলের অন্যান্যদের সঙ্গে দর্শকাসনে বসে সেদিন তিনি স্বপ্ন দেখেছিলেন একদিন তিনিও যদি এমন মঞ্চে দাঁড়ানোর সুযোগ পান! আর এবার তাঁর সেই বাসনাই পূরণ হল। নিজের স্কুলে ফিরে গিয়ে খুব স্বাভাবিকভাবেই তিনি আবেগতাড়িত হয়ে পড়লেন।
স্কুলে গিয়েই জড়িয়ে ধরলেন প্রিয় শিক্ষিকাদের। প্রণাম করে উঠলেন মঞ্চে। স্কুলের বর্তমান ছাত্রছাত্রীদের সামনে বক্তব্য রাখলেন, তুলে ধরলেন নটী বিনোদিনীর গল্প। সকলের সঙ্গে বসে আরও একবার দেখলেন নিজের সিনেমার ট্রেলার। হাত মেলালেন, সকলের সব আবদান রাখলেন, ফিরে গেলেন পুরনো ক্লাস রুমে। চক দিয়ে লিখলেন ব্ল্যাকবোর্ড। ছাত্রছাত্রীদের পাশে বসে তাঁদের সঙ্গে দিলেন আড্ডা। মাটিতেই সকলের সঙ্গে বসে পড়তে দেখা গেল তাঁকে।
এদিন তাঁর সহপাঠী ও প্রিয় ৪ বন্ধু, রুকসা, সোহিনী, প্রণেত্রী, রণিতা অর্থৎ কারমেল স্কুলে আরও ৪ প্রাক্তনীকে নিয়েই পুরনো স্কুলে ফিরে গিয়েছিলেন রুক্মিণী মৈত্র। সেখানে গিয়ে ছাত্রছাত্রীদের সামনে 'B ফর বিনোদিনী' বলে উল্লাস করতে দেখা গেল রুক্মিণীকে। তাঁর সঙ্গে তাঁর সঙ্গে গলা মেলান স্কুলের ছাত্রীরাও। এদিন তাঁর সময়কালীন যিনি স্কুলের প্রিন্সিপ্যাল ছিলেন, কারমেল হাইস্কুলের সেই এক্স প্রিন্সিপ্যাল সিস্টার অ্যান ইমেল্ডা -র হাত ধরে মঞ্চে ওঠেন তাঁর প্রাক্তন ছাত্রী রুক্মিণী। এমনকি স্কুলের বর্তমান প্রিন্সিপ্য়াল হলে সিস্টার মাটিল্ডার সঙ্গেও দেখা করেন অভিনেত্রী।
এদিকে ইতিমধ্যেই গত ২৩ জানুয়ারি 'বিনোদিনী দাসী' হয়ে পর্দায় ধরা দিয়েছেন অভিনেত্রী। তাঁর অভিনয়ে মুগ্ধ সিনেপ্রেমী দর্শক। ইতিমধ্যেই ছবি নিয়ে দর্শকদের থেকে বেশ ভালোই প্রতিক্রিয়া মিলেছে। শুধু সিনেমা হয় মন কেড়েছে ছবির গানগুলিও।