বিগ বস ওটিটি-র দ্বিতীয় সিজনের শুরুতেই চর্চায় উঠে এসেছেন যে প্রতিযোগী, তাঁর নাম মনীষা রানি। অল্প সময়ের মধ্যেই সবার মন কেড়েছেন বিহারের এই কন্যে, বাংলার সঙ্গেও রয়েছে তাঁর কানেকশন। মনীষার পোশাক-আশাক থেকে শুরু করে বিন্দাস লাইফস্টাইল— সব ঘিরেই চলছে আলোচনা। ইতিমধ্যেই উরফি জাভেদের সঙ্গে তাঁর তুলনা টানছেন কেউ কেউ, যদিও মনীষার কথায় ‘আমি ওঁর মতো নই’। বিহারের এই সোশ্য়াল মিডিয়া সেনসেশনের নাচে মুগ্ধ সকলে। নাচ শিখতে একটা সময় ঘর ছেড়েছিলেন মনীষা। ছোট্ট গ্রামের রক্ষণশীল পরিবারে নাচ শেখবার অনুমতি মেলেনি, তাই কোনওরকম টাকাপয়সা ছাড়াই কলকাতায় পালিয়ে এসেছিলেন মনীষা। কেরিয়ারের সেই স্ট্রাগলের দিনের কথা বলতে গিয়ে আবেগপ্রবণ মনীষা।
আরও পড়ুন- উরফিকেও হারিয়ে দিচ্ছেন বিহারের রানি' মনীষা, কোন লড়াইয়ে জানেন
বিগ বস ওটিটি ২-এর প্রতিযোগী জানান, ‘আমি বাবাকে একটা চিঠিতে লিখেছিলাম, ক্ষমা করে দিও, এরপর এক বন্ধুর সঙ্গে কলকাতা পালিয়ে যাই। ট্রেনের টিকিট থাকত না, আমি গ্রেফতারির ভয় পায়নি। টিকিট পরীক্ষক ধরলে ২ ঘন্টা জেলে বসে থাকব, জানাই ছিল। প্ল্য়াটফর্ম টিকিটের দাম ছিল ৫টাকা, সেটা কেনার টাকাও থাকত না'।
মনীষার কথায়, কলকাতায় যে ভাঙাচোরা ঘরে তিনি থাকতেন, সেখানে তাঁর পরিবারের কেউই এক রাত কাটাতে পারবে না। মশার কামড় খেতে হত সারারাত। কিন্তু যে কোনও মূল্য়ে টিকে থাকতে হবে, শপথ নিয়েছিলেন মনীষা। টাকা উপার্জনের জন্য ব্যাকগ্রাউন্ড ডান্সার থেকে বিয়ে বাড়ির ওয়েট্রেস হিসাবে কাজ করেছেন এই সুন্দরী।
মনীষা বলেন, ‘বিয়ে বাড়িতে যখন ওয়েট্রেসের কাজ করেছি, তখন টানা আট ঘন্টা সাদা শার্ট আর কালো ট্রাউজার্স পরে থাকতাম। টানা দাঁড়িয়ে থাকতে হত। আমাদের চোখের সামনে ভালো-মন্দ খাবারের পসরা থাকত, সেগুলো সার্ভ করতাম, অথচ চেখে দেখবার অনুমতি ছিল না। তাকিয়ে থাকতাম খাবারের দিকে’। সময় যতই খারাপ হোক না কেন, হার না মানার জেদই তাঁকে জীবনে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে। মনীষা জানান, 'বিয়ে বাড়িতে টেবিলের নীচে লুকিয়ে খাবার চুরি করেও খেয়েছি'।
ইনস্টাগ্রামে ৪৬ লক্ষেরও বেশি অনুরাগী মনীষার। ছোট থেকেই আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্ন ছিল মনীষার চোখে। সেই স্বপ্ন সত্যি করার জার্নি শুরু হয়েছিল কলকাতা থেকে। তাই তিলোত্তমাকে কোনওদিন ভুলবেন না মনীষা। আপতত মায়ানগরী মজে ‘বিহারের রানি’তে। আরও পড়ুন-
মূলত কণ্ঠের জন্যই সুখ্যাতি রয়েছে মনীষার। বলিউডের তারকারা মনীষার কন্ঠের সঙ্গে ঠোঁট মিলিয়ে ইনস্টাগ্রাম ভিডিয়ো তৈরি করেন। ইনস্টাগ্রাম- ইউটিউবেই জনপ্রিয়তা মনীষার। সেই জনপ্রিয়তায় ভর দিয়েই এখন সলমন খানের শো-এর পছন্দের প্রতিযোগী তিনি।