আবারও শোকস্তব্ধ টলিউউ। বুধবার গভীর রাতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে চলে গেলেন টেলিভিশন ও ফিল্মের প্রখ্যাত পরিচালক রাণা সেন। গতকাল রাত ১১টা পর্যন্ত তিনি তাঁর কলকাতার বিজয়গড়ের বাসভবন থেকেই সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে অনলাইন ছিলেন, ফেসবুকে পোস্টও করেন সেই সময়। আগে থেকে কোনও অসুস্থতা বোধ করেন নি। কিন্তু হঠাৎই রাত ১টা নাগাদ তাঁর ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাক হয়। এবং তারপরই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন পরিচালক রাণা সেন। এই সংবাদ শোনা মাত্রই শোকের ছায়া ঘনিয়ে আসে শিল্পী মহলে। এককথায় হাসিখুশি এবং প্রাণখোলা মানুষ ছিলেন পরিচালক রাণা সেন। তাঁর সহকর্মী এবং টলিউডের শিল্পী মহল সেই কথাই পোস্ট করে জানাচ্ছেন সোশ্যাল সাইটে। নতুন প্রতিভাদের সব সময় কাজের সুযোগ করে দিতেন তিনি। রাণা সেন পরিচালিত ও সুপ্রিয়া দেবী অভিনিত ‘বড়মা’ বাংলা টেলিভিশনের এক উল্লেখযোগ্য ধারাবাহিক । টলিউডের পাশাপাশি ওড়িশাতেও সমান জনপ্রিয় ছিলেন বাংলার এই প্রতিবাবান পরিচালক। ওড়িয়া টেলিভিশনে বহু প্রজেক্টের সঙ্গে তিনি যুক্ত ছিলেন বহুদিন ধরে। এই সময় তাঁর কাজও চলছিল ওড়িশাতে। তাঁর অকাল মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছেন সেখানকার শিল্পী ও কলাকুশলীরা। লকডাউনের পর থেকেই পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি, অনিশ্চিত কাজের ভবিষ্যৎ, আর্থিক মন্দা এবং একের পর এক মৃত্যু সংবাদে জর্জরিত টলিউড বলিউড সহ বিভিন্ন শিল্প মাধ্যম। ইরফান খানের মতো অনান্য প্রতিভার অকাল মৃত্যু থেকে সুশান্ত সিং রাজপুতের অত্মহত্যার ঘটনা, মানুষের মনকে ভেঙেচুরে তছনছ করে দিয়েছে। সুশান্তের মর্মান্তিক মৃত্যু ভীষণভাবে নাড়া দিয়েছিল এই পরিচালককে, তাঁর ফেসবুক পোস্ট থেকে সেই অনুভূতি বারবার প্রকাশ পেয়েছে সোশ্যাল মাধ্যমে। আজ সুশান্তের মৃত্যুর ৩৯ দিনের মাথায় পরিচালক রাণা সেনের এই অকাল মৃত্যু আরও এক হৃদয়বিদারক সংযোজন। পরিবারে রেখে গেলেন তাঁর স্ত্রী অনামিকা (এক সময় তিনিও অভিনয় করতেন) এবং এক কন্যাকে।