মহাকুম্ভে নিয়ে এইবছর একের পর এক চমক। কখনো আইআইটি বাবা, কখনো আবার পার্লার থেকে পরচুলা পরে সন্ন্যাসী সাজে, নিত্যনতুন কনটেন্টের খোরাক হয়ে গিয়েছে হিন্দুদের অন্যতম পবিত্র উৎসব। যা নিয়ে এবার বিরক্তি প্রকাশ করতে দেখা গেল যোগগুরু বাবা রামদেবকে। শুধু তাই নয়, মমতা কুলকার্নির হঠাৎ সন্ন্যাস নিয়েও মুখ খুললেন তিনি।
মমতা কুলকার্নির মহামণ্ডলেশ্বর হয়ে ওঠা নিয়ে নিজের প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন বাবা রামদেব।
সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় বাবা রামদেব বলেন, ‘... কেউ কেউ মহামণ্ডলেশ্বর হয়েছেন। কারও নামের সঙ্গে বাবা যোগ করুন। কুম্ভের নামে কোনও ধরনের এসব কাজ, রিল মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া ঠিক নয়। আসল কুম্ভ হল যেখানে মানবতা থেকে দেবত্বে, ঋষিত্বে, ব্রহ্মে আরোহণ করা হয়...। এটি হল শাশ্বতকে অনুভব করা, নিজের মধ্যে থাকা শাশ্বতকে জাগিয়ে তোলা।’
সম্প্রতি এক অভিনেত্রীর মহামণ্ডলেশ্বর হওয়া নিয়ে প্রশ্ন করা হলে বাবা রামদেব বলেন, ‘একদিনে কখনো সাধু পাওয়া যায় না। এর জন্য বছরের পর বছর তপস্যা করতে হয়। এই সাধুত্ব অর্জন করতে আমাদের পঞ্চাশ বছরও লেগে যায়। একেই বলে সাধুত্ব। সন্ন্যাসী হওয়াটা অনেক বড় ব্যাপার। মহামণ্ডলেশ্বর হওয়া অত সহজ নয়। আজকাল দেখছি যে কেউ, কাওকে ধরে মহামণ্ডলেশ্বর হয়ে যাচ্ছেন। এমনটা হওয়া উচিত নয়।’
বলিউড অভিনেত্রী মমতা কুলকার্নি গত শুক্রবার প্রয়াগরাজ মহাকুম্ভের সঙ্গমে স্নান করে গৃহজীবন ত্যাগ করেছেন। কিন্নর আখড়ার মহামণ্ডলেশ্বর কৌশল্যা নন্দ গিরি ওরফে টিনা মা জানিয়েছেন, মমতা কুলকার্নি গঙ্গায় স্নান করেছেন এবং গঙ্গার তীরে তাঁর পিন্ড দান করেছেন। তাঁর কথায়, রাত ৮টা নাগাদ কিন্নর আখড়ায় বৈদিক মন্ত্র জপের মধ্যে তাঁকে মহামণ্ডলেশ্বর রূপে অভিষিক্ত করা হয়।
তিনি বলেন, এই অনুষ্ঠানে জুনা আখড়ার মহামণ্ডলেশ্বর স্বামী মহেন্দ্রনন্দ গিরি, কিন্নর আখড়ার আচার্য মহামণ্ডলেশ্বর লক্ষ্মী নারায়ণ ত্রিপাঠী এবং অন্যান্য কিন্নর মহামণ্ডলীয়দের উপস্থিতিতে প্রথমে পাঁচ মহামণ্ডলেশ্বর – গিরনারি নন্দ গিরি, কৃষ্ণানন্দ গিরি, রাজেশ্বরী নন্দ গিরি, বিদ্যানন্দ গিরি এবং নীলম নন্দ গিরির মাধ্যমে পরিবেশন করা হয়েছিল। কৌশল্যা নন্দ গিরি বলেন, এর পর চলচ্চিত্র অভিনেত্রী মমতা কুলকার্নির পট্টাভিষেক করা হয় এবং তার নতুন নাম দেওয়া হয় ইয়ামাই মমতা নন্দ গিরি।