২০ বছরের ছোট সুরার সঙ্গে সুখে সংসার করছেন আরবাজ। প্রাক্তন স্বামীর দ্বিতীয় বিয়ের কয়েক মাসের মধ্যে জানা গেল, প্রেম ভেঙেছে মালাইকার। আর একসঙ্গে নেই অর্জুন-মালাইকা। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই হইচই বি-টাউনে। পিঙ্কভিলাকে জুটির (এখন প্রাক্তন) এক ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে পারস্পরিক বোঝাপড়ার মাধ্যমেই নিজেদের সম্পর্ক ভাঙার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা।
তবে পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা আর সম্মান আজও অটুট অর্জুন-মালাইকার। সেই কারণেই বিচ্ছেদ নিয়ে কোনওভাবেই প্রকাশ্যে মুখ খুলবেন না তাঁরা। সূত্র জানাচ্ছে, ‘অর্জুন-মালাইকার সম্পর্কটা খুব বিশেষ। পরস্পরের হৃদয়ে একটা বিশেষ জায়গা আজও রয়েছে। তবে নিজেদের পথ আলাদা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দুজনে, এবং এই ব্যাপারে সম্মানের সঙ্গে নীরবতা বজায় রাখতে চান তাঁরা। এই সম্পর্কে কাদা ছেঁটানোর অধিকার কাউকে দিতে না-রাজ তাঁরা’।
তাঁদের সম্পর্কের বয়স প্রায় ছয় বছর। আরবাজ খানের সঙ্গে দাম্পত্যে ইতি টানতে না টানতেই ১২ বছরের ছোট অর্জুন কাপুরের সঙ্গে প্রণয় ডোরে বাঁধা পড়েন মালাইকা আরোরা। ঘটনাচক্রে অর্জুনের প্রাক্তন বান্ধবী অর্পিতা খান (এখন শর্মা)-র প্রাক্তন বৌদি মালাইকা। বয়সের ফারাক, মালাইকার ডিভোর্সি স্টেটাস কোনওকিছুই বাধ সাধেনি এই জুটির প্রেম কাহানিতে। গড়গড়িয়ে এগিয়েছে তাঁদের সম্পর্কের চাকা। কিন্তু হঠাৎ করেই নাকি ছন্দপতন।
গত বছরের মাঝামাঝি সময়েও বলিপাড়ায় অর্জুন-মালাইকা বিচ্ছেদের গুঞ্জন মাথাচাড়া দিয়েছিল। আসলে অর্জুনের পরিবারের একাধিক সদস্যকে সমাজমাধ্যমের পাতায় ‘আনফলো’ পর্যন্ত করে দেন মালাইকা। তাতেই শুরু হয় জল্পনা। আসলে অর্জুনের পরিবারের সঙ্গে কোনওদিনই হলায়-গলায় ভাব নেই মালাইকার। বরং শোনা যায়, ডিভোর্সি, এক সন্তানের মা মালাইকাকে নিজের বউমা করতে মোটেই রাজি নন বনি কাপুর।
গতবছর অগস্ট মাসে যখন দুজনের ব্রেকআপ জল্পনা তুঙ্গে, একসঙ্গে লাঞ্চ ডেটে গিয়ে সব জল্পনায় জল ঢেলেছিলে তাঁরা। ওদিকে কফি উইথ করণের মঞ্চে মালাইকাকে বিয়ের ব্যাপারে খোলাখুলি কথা বলতে রাজি হননি অর্জুন। তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘আমি এই অনুষ্ঠানে আসতে ভীষণ পছন্দ করি কারণ, এখানে এসে মন খুলে সৎভাবে কথা বলা যায়। তবে আমার বিয়ের বিষয়টা জীবনের এমন একটা অংশ সেটা নিয়ে হুট করে কিছু বলা যায় না। তা ছাড়াও, সম্পর্কটা তো দু’জন মানুষের। আমার পার্টনার এখানে অনুপস্থিত, আমি কিছু একটা বলে দেব, সেটা অন্যায় হবে (আনফেয়ার)। আমার মনে হয়, আমাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে কথা বলতে হলে আমাদের দুজনের একসঙ্গে কথা বলা উচিত।’
এখন মালাইকার বয়স ৫০, অর্জুনের ৩৮। বয়সের ফারাক নিয়ে লাগাতার ট্রোলের মুখোমুখি হন তাঁরা। তবে সেই ট্রোলিংকে কোনওদিনই পাত্তা দেননি দুজনে। তাহলে হঠাৎ কেন এই সিদ্ধান্ত? উত্তর তো কেবল অর্জুন-মালাইকাই দিতে পারবেন!