বাংলা নিউজ > বায়োস্কোপ > Angana Roy Exclusive: ‘পুজো মোটামুটি একসঙ্গেই কাটবে! অষ্টমীতেও…’, রোহনের সঙ্গে কী প্ল্যান, জানালেন অঙ্গনা
পরবর্তী খবর
Angana Roy Exclusive: ‘পুজো মোটামুটি একসঙ্গেই কাটবে! অষ্টমীতেও…’, রোহনের সঙ্গে কী প্ল্যান, জানালেন অঙ্গনা
5 মিনিটে পড়ুন Updated: 05 Oct 2024, 09:03 AM ISTSayani Rana
পুজোর সময় এলেই অতীতে ফিরে যান অঙ্গনা রায়। হাতড়ে দেখেন দিদা-দাদুর সঙ্গে কাটানো একগুচ্ছ সুন্দর মুহূর্ত। সম্প্রতি তাঁর জীবনে এসেছেন বিশেষ মানুষও। প্রিয় মানুষদের সঙ্গে কতটা রঙিন হবে তাঁর এবারের পুজো? রোহন ভট্টাচার্যের দেবেন কি অষ্টমীর অঞ্জলি? সব নিয়ে হিন্দুস্থান টাইমস বাংলার সঙ্গে অকপট আড্ডায় অঙ্গনা।
রোহনের সঙ্গে পুজো প্ল্যান শেয়ার করলেন অঙ্গনা।
সিরিজ থেকে সিনেমা, ছোটপর্দা সবটা নিয়ে ব্যস্ত তিনি। নিজের জন্য ফুরসত মেলে না বললেই চলে। তবে পুজোর সময় এলেই অতীতে ফিরে যান অঙ্গনা রায়। হাতড়ে দেখেন দিদা-দাদুর সঙ্গে কাটানো একগুচ্ছ সুন্দর মুহূর্ত, আর মায়ের হাত ধরে নতুন জামা কিনতে যাওয়ার স্মৃতি। সম্প্রতি তাঁর জীবনে এসেছেন বিশেষ মানুষও। প্রিয় মানুষদের সঙ্গে কতটা রঙিন হবে তাঁর এবারের পুজো? রোহন ভট্টাচার্যের সঙ্গে সারবেন কি অষ্টমীর অঞ্জলি? সবটা নিয়ে হিন্দুস্থান টাইমস বাংলার সঙ্গে অকপট আড্ডায় ধরা দিলেন অঙ্গনা।
কেমন আছেন? শরীর আগের থেকে সুস্থ এখন?
অঙ্গনা: হ্যাঁ, আগের থেকে এখন অনেকটাই সুস্থ। এখন আর ওষুধ চলছে না। তাছাড়া সামনে পুজো আসছে। সবটা মিলিয়ে বেশ ভালোই আছি।
কেনাকাটা সব হয়ে গিয়েছে? আর তো বেশি দিন বাকি নেই…
অঙ্গনা: না, এখন আর পুজোয় নিজের জন্য আলাদা করে খুব একটা কেনাকাটা করা হয় না। এমনই তো সারা বছর কিছু না কিছু নতুন কিনতেই হয়। তাই পুজোয় যদি মনে হয় একটা-দুটো শাড়ি কিনি। এখন মূলত বাবা, মা আর দাদুকে নতুন পোশাক কিনেদি। এটার মধ্যে একটা অন্য আনন্দ থাকে। নতুন পোশাক সেভাবে আরও না কেনার একটা কারণ হল দিদা। সেই মানুষটা চলে যাওয়ার পর থেকে আমার আর খুব একটা নতুন জামা কিনতে ইচ্ছা করে না। হয়তো এই একটা জায়গায় আমার মধ্যে বদলটা খুব বেশি করে এসেছে। ছোটবেলার পুজোর স্মৃতি মানেই আমার কাছে দিদা।
ছোটবেলায় দিদার সঙ্গে কেমন কাটাত পুজো?
অঙ্গনা: আমার দিদা দেবী দুর্গার খুব ভক্ত ছিলেন। ওঁর থেকে আমার মধ্যেও সেই বিষয়টা এসেছে। ছেলেবেলায় আমি কলকাতায় থাকতাম না। তখন পুজোর ছুটি মানেই দাদু-দিদার বাড়ি, আসানসোল। আসলে আমি ওখানেই জন্মেছি। আমার ছোটবেলার বেশির ভাগ ভালো স্মৃতি আসানসোলে। পুজোর দিনগুলোতে দাদুর হাত ধরে আসানসোলের পাড়ায় পাড়ায় ঘুরতাম, আলো দেখতাম। দিদার সঙ্গে ওখানের বড়বাজারে অনেক সময় জামা কিনতে যেতাম। ক্লাস এইটে যখন পড়ি তখন মনে হয় কলকাতার পুজো প্রথম দেখেছি। ওখানে এতটা আনন্দ হত যে, কলকাতার পুজোর জন্য সেরকম টান কখনও অনুভবই করতাম না। তারপর দিদা ছেড়ে চলে গেলেন, প্রায় আট বছর হতে চলল। তাই এখন আমার দায়িত্ব দাদুকে ঠাকুর দেখানো।
তাহলে এবছরও কি পুজোয় আসানসোলেই থাকবেন?
অঙ্গনা: না, আসলে পুজোর বেশ কিছু কাজ আছে তো। কিছু উদ্বোধন রয়েছে, তাছাড়াও পুজো পরিক্রমা রয়েছে। তাই কলকাতাতেই থাকব। তবে দাদু এখানে এসেছেন। আগেরবার তো মা দাদুকে নিয়ে বেরিয়েছিলেন পুজোর ক'টা দিন। কিন্তু এবার বাবা-মা থাকছেন না। দাদু আমার সঙ্গে থাকবেন। এ বছর দাদুকে নিয়ে ঘোরার দায়িত্ব আমার। দাদুর ৯০ বছর বয়স, তাই তিনি হয়তো প্যান্ডেলে ঘুরে ঘুরে ঠাকুর দেখতে পারবেন না। কিন্তু এই সময় শহরটা যেভাবে আলোয় সেজে ওঠে সেটা দেখতে দাদু খুব পছন্দ করেন। সেটাই আমরা দাদু-নাতনি মিলে একসঙ্গে ঘুরে দেখব।
আর বন্ধু-বান্ধব…
অঙ্গনা: হ্যাঁ, ওঁদের সঙ্গেও আড্ডা দেব। সবাই তো কলকাতায় থাকেন না। পুজোর ছুটিতে ক'টা দিনের জন্য ফেরে। এই সময় ওঁদের সঙ্গে আড্ডা দেওয়া, ফুচকা খাওয়া এইসব করি।
ফুচকা! অভিনেত্রীদের তো কঠোর ডায়েটের মধ্যে থাকতে হয়…
অঙ্গনা: তা হয় ঠিকই। কিন্তু পুজোর সময় একটু খাওয়া-দাওয়া তো হবেই। যেমন আমার একটা দিন ঠিক করা থাকে। সেই দিন আমি বন্ধুদের সঙ্গে যোধপুর পার্কের সামনে অথবা ঢাকুরিয়ায় দক্ষিণাপনের সামনে যে ফুচকা বসে, সেখানে গিয়ে ফুচকা খাবই। ওই দিনটায় আমি সব খায়। যদি কেউ ট্রিট দেয়, কিংবা বিরিয়ানি খাওয়ায় অবশ্যই খাই। তাছাড়াও পুজোয় অষ্টমীর ভোগ তো খেতেই হবে। সেটা ছাড়া পুজো সম্পূর্ণ হয় না।
অঙ্গনা: ছোটবেলায় তো মা-বাবার সঙ্গেই দিতাম। যখন কলকাতায় থাকতাম পুজোয় আমাদের কমপ্লেক্সে অঞ্জলি দিতে যেতাম।
বাবা-মায়ের সঙ্গে পুজোর দিনগুলো কেমন ছিল?
অঙ্গনা: মা-বাবার সঙ্গে পুজোয় ঘুরে ঘুরে ঠাকুর দেখিনি ওভাবে। তবে পুজোর আগে মায়ের সঙ্গে দক্ষিণাপনে নতুন জামা কিনতে যেতাম। আর তাছাড়া আমাদের কমপ্লেক্সে পুজোর সময় অনুষ্ঠান হত, সেখানেই বাবা-মায়ের সঙ্গে যেতাম। কলকাতায় মূলত স্কুল-কলেজের বন্ধুদের সঙ্গেই ঘুরেছি। তবে সেটাও কলেজের সময় থেকে।
বাড়ি থেকে কি ছাড়তো না?
অঙ্গনা: হ্যাঁ, বাড়ি থেকে ছাড়ার ক্ষেত্রে তো একটা চাপ ছিলই। সেক্ষেত্রে একটা টাইমও বেঁধে দেওয়া হত। যে দশটার মধ্যে মোটামুটি ঢুকে যেতে হবে। কিন্তু সেই সময় বন্ধুদের ছেড়ে আসতেও ইচ্ছে করত না। তাই অনেক সময় বলতাম রাস্তায় খুব ভিড়, যেতে আরও একটু সময় লাগবে। মানে যতটা সামাল দেওয়া যায়। আমাকে কলেজের ফার্স্ট ইয়ারের আগে পর্যন্ত সেভাবে ছাড়া হত না।
কিন্তু শুধুই কি বন্ধু? পুজো মানে তো প্রেমও, বিশেষ মানুষের হাত ধরে ঠাকুর দেখা হত?
অঙ্গনা: এই একটা বিষয়টার সঙ্গে আমি খুব একটা রিলেট করতে পারব না। আমার জীবনে ‘পুজো প্রেম’ ব্যাপারটা আসেনি। আমার কখনও আলাদা করে মনেও হয়নি যে পুজোয় ঘোরার জন্য একজন বিশেষ মানুষের প্রয়োজন। আমার অনেক বন্ধু-বান্ধবকে দেখতাম, পুজোয় বিশেষ মানুষ খুঁজতো ঠাকুর দেখতে যাবে বলে। কিন্তু আমার জীবনে যত প্রেম এসেছে তা সব বছরের শুরু দিকেই। পুজোয় তাঁর সঙ্গে হয়তো ঘুরেছি। কিন্তু পুজো প্রেম বলে আলাদা করে কিছু হয়নি।
কিন্তু এখন তো জীবনে বিশেষ মানুষ…তাঁকে নিয়ে কী বলবেন?
অঙ্গনা: হ্যাঁ, সে সত্যি খুব বিশেষ আমার জীবনে। আসলে প্রেম, ভালবাসা থেকেও আমার কাছে বড় কথা হল কম্পেনিয়ানশিপ, পাশে থাকা সব পরিস্থিতিতে। আর রোহন (রোহন ভট্টাচার্য) আমার জীবনে খুবই বিশেষ একজন মানুষ। রোহন এতটাই ভালো মানুষ যে আমি কখনওই চাইবো না যে আমার জীবন থেকে ও সরে যাক। আমরা দুজনে খুব ঘনিষ্ঠ বন্ধুও।