ইদের কথা মাথায় রেখে একগুচ্ছ বাংলাদেশি ছবি তৈরি করা হয়েছিল। তারমধ্যে অন্যতম ‘শান’। বড় বাজেটের এই ছবি। ছবির প্রযোজক আজাদ খান। এখন অবধি তিনটি ইদ চলে গেলেও ছবি মুক্তি পায়নি। আগামী ইদেও যে মুক্তি পাবে, তেমন কোনও লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। করোনার জেরে বার বার মুক্তি পিছিয়ে যাচ্ছে একাধিক ছবির।
সিয়াম ও পূজা চেরি অভিনীত এম এ রাহিমের ছবিটির মুক্তি নিয়ে এখন তাই বিকল্প পথ ভাবছেন প্রযোজক। তিনি বলেন, ‘ইদ ছাড়া এই ছবির বিনিয়োগ উঠে আসবে না। দু-বছর ধরে অপেক্ষা করলাম। এখন মনে হচ্ছে ছবিটি নিয়ে আর নির্দিষ্ট গন্তব্যে থাকতে পারছি না। অনেক সময় পেরিয়ে গেছে। আর কত দিন এত বড় বিনিয়োগ আটকে রাখব। এখন ভাবছি অবস্থা স্বাভাবিক হলে বছরের যেকোনও সময়ই মুক্তি দেব।’
শুধু শানই নয়, করোনার কারণে আটকে রয়েছে আরো ছয়টি ছবি। বিগত দু-বছর ধরে ইদে মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল এই ছবিগুলো। তালিকায় রয়েছে মিশন এক্সট্রিম, মিশন এক্সট্রিম ২, বিদ্রোহী, বিক্ষোভ, অপারেশন সুন্দরবন, অন্তরাত্মা।

এই সমস্ত ছবির পরিচালক ও প্রযোজক ইদের কথা মাথায় না রেখে বছরের যে কেনও সময় ছবি মুক্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাঁদের কথায়, আর ইদের জন্য অপেক্ষা নয়, পরিবেশ তৈরি হলে বছরের যেকোনও সময় মুক্তি দেবেন এইসব ছবি।
এক বছর ধরে ইদে মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে শামীম আহমেদের বিক্ষোভ ও শাহিন সুমনের বিদ্রোহী। তাঁরাও ছবি দুটি মুক্তির জন্য ইদের অপেক্ষা করবেন না বলে জানিয়েছেন। প্রসঙ্গত, বিক্ষোভ ছবিতে অভিনয় করছেন বাংলাদেশের শান্ত খান, শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্য়ায়, রজতাভ দত্ত, রাহুল দেব প্রমুখ।