বিয়ের পর প্রথম জন্মদিন ছিল শনিবার আদৃত রায়ের। ৩২ বছরে পা রাখলেন মিঠাই নায়ক। জন্মদিনের সকালে মিঠাই-এর সেট যেখানে ছিল অর্থাৎ ভারতলক্ষ্মী স্টুডিয়োতে পৌঁছেছিলেন আদৃত রায়। বাধ ভাঙা ভিড়ে ভক্তদের সঙ্গে জন্মদিন পালন করেন ‘বাংলার ক্রাশ’। সকাল সকালই বরকে মিষ্টি শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন কৌশাম্বি। বউভাতের সকালের ভাত কাপড়ের অনুষ্ঠান থেকে দুটি অদেখা ছবি শেয়ার করে তিনি লেখেন, ‘শুভ জন্মদিন আমার সোলমেট আর প্রিয় বন্ধু। মনে রাখবে, সেরাটা আসা এখনও বাকি আছে।’
ভারতলক্ষ্মী স্টুডিয়োতে আসা ছাড়াও, আর কীভাবে জন্মদিন কাটালেন ‘উচ্ছেবাবু’? জন্মদিনের আগের রাত থেকেই চলছিল উদযাপন। আদৃত এক সংবাদমাধ্যমকে জানান, ব্যান্ড আর স্কুলের পুরনো বন্ধুরা এসেছিল। সকলে মিলে কেক কাটেন। ছিল আদৃতের মা-বাবা ও কৌশাম্বির বাবা। জন্মদিনের রাতেও চলল জমিয়ে সেলিব্রেশন। কিছু ছবিও কৌশাম্বি দিলেন সোশ্যালে। দেখুন-

নিজেকে সবরকম প্রচার থেকে দূরেই রাখেন আদৃত। মিঠাই-এর আকাশছোঁয়া সাফল্যের পর নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন সকলের থেকে। আপাতত অপেক্ষায় তাঁর পাগল প্রেমী সিনেমা। সেটি মুক্তির আগে ইনস্টাগ্রামে প্রোফাইল খুলেছেন ঠিকই, তবে সেখানও পোস্ট খুব সামান্য। তবে জন্মদিনে সংবাদমাধ্যমরে মুখোমুখি হন। সেখানে বিবাহ পরবর্তী জীবন নিয়ে কথা বলতে শোনা যায় তাঁকে।
আরও পড়ুন: ‘দোস্তানা ২’-র কাজ মাঝ পথে বন্ধ হওয়া কার দোষে? করণ-কার্তিককে নিয়ে সরব জাহ্নবী
আদৃত জানালেন, বিয়ের আগে বেশকিছু বছর বাবা-মায়ের থেকে দূরেই থাকতেন তিনি। বাবার একটি ফ্ল্যাটে থাকতেন তিনি। তবে বিয়ের পর ফিরে গিয়েছেন পরিবারের কাছেই। আদৃত জানালেন, ‘বাবারই একটা ফ্ল্যাটে আমাকে থাকতে দিয়েছিল। বিয়ের পর বাবা-মা যেখানে থাকে ওই বাড়িতেই চলে এসেছি। এখন আমি, কৌশাম্বি, মা-বাবা সবাই একসঙ্গে থাকছি।’
জন্মদিনে কৌশাম্বির কাছ থেকে কী উপহার পেলেন তা খোলসা না করলেও, আদৃত জানালেন, নিজের হাতে রান্না করে খাওয়াবে নতুন বউ। কৌশাম্বির হাতের রান্নার ভূয়সী প্রশংসা করেন তিনি। এতদিন বিয়ে-হানিমুন এসবের চাপে সময় হয়নি রান্না করে খাওয়ানোর। তবে জন্মদিনের রাতেই বরমশাইয়ের প্রিয় খাবার হয়েছে রান্না।
আপাতত ফুলকি-তে পারোমিতার চরিত্রে দেখা যাচ্ছে কৌশাম্বিকে। চলতি সপ্তাহে শ্যুটিং সেটে ফিরছেন তিনি। এদিকে মুক্তির অপেক্ষায় পাগল প্রেমী-ও। এসভিএফের প্রযোজনায় কমার্শিয়াল ঘরনার ছবি দিয় ফিরছেন তিনি। সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গেও আদৃতের কাজের কথা শোনা যাচ্ছে।