বলিউডের হেড ফ্যামিলি হিসেবে ধরা হয় বচ্চনদের। অমিতাভ-জয়ার বাড়ির হাঁড়ির খবর জানার জন্য, উৎসাহ কিছু কম থাকে না মানুষের মনে। এই যেমন এখন চর্চায় অভিষেক আর ঐশ্বর্যর ভাঙন লাগা দাম্পত্য। শোনা যায়, বচ্চন পরিবারের অন্দরে নাকি মারাত্মক কলহ। শাশুড়ি-বউমা অর্থাৎ জয়া আর ঐশ্বর্যর মধ্যে বনিবনা নষ্ট হওয়ায়, নিজের বাপির বাড়ি চলে গিয়েছেন অভিনেত্রী।
এরই মাঝে বর্ষীয়ান অভিনেত্রী ফরিদা জালাল দিলেন বড় খবর। একাধিক সিনেমায় শাহরুখ-সলমনদের সঙ্গে কাজ করেছেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী। সহকর্মী হিসেবে পেয়েছেন অমিতাভ ও জয়া বচ্চনকে। এক সাক্ষাৎকারে ফরিদার কাছে প্রশ্ন রাখা হয়েছিল, সেটে কখনো কি তিনি ঝগড়া করতে শুনেছেন অমিতাভ-জয়াকে?
আরও পড়ুন: কথা রাখলেন সানি দেওল, গদর ২-এর পর আসছে বর্ডার ২! বড় মন্তব্য সৎ বোন এষার
ফরিদাকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি পালি হিলে থাকতাম এবং অমিতাভজি জুহুতে থাকতেন। তখনও তাদের বিয়ে হয়নি। তারা কোর্টশিপ পিরিয়ডে ছিল এবং প্রত্যেক দম্পতির মতোই তাদের মধ্যে ঝগড়া চলত। কারণ বলব না, তবে খুব বোকা বোকা… অমিতজি গাড়ি চালাতেন, জয়া তার পাশে বসত এবং আমিও থাকতাম। পিছনের সিটে আমি তাদের বলতাম, ‘তোমাদের মাঝে হাড্ডি বানাচ্ছ কেন’! কিন্তু ওরা আমাকে নিজেদের সঙ্গে যোগ দেওয়ার জন্য জোর করেত।’
আরও পড়ুন: লাফিয়ে এগোচ্ছে কথা! নিম ফুলের মধু-ফুলকিকে সরিয়ে টিআরপি টপার হল না তো
‘আমি এমন একজন ছিলাম যে তাড়াতাড়ি ঘুমাতে যেত কিন্তু ওরা আমাকে ডাকত।অনেক সময় ওদের ঝগড়া করতে শুনেছি। জয়া কাঁদত। আর অমিতাভ তাঁকে শান্ত করত। আমার খুব মিষ্টি লাগত ওই মুহূর্ত। জয়ার সঙ্গে আমার বন্ধুত্ব অনেক দূর এগিয়েছিল। আমি ওকে আদর করে জিয়া বলে ডাকতাম। কফি ডেট থেকে ফেরার সময় ওরা সিনেমা নিয়ে কথা বলতেন। তারপর আমাকে নামিয়ে দিয়ে বাড়ি চলে যেত। আমি শুধু বলতে পারি তাঁরা খুব মিষ্টি মানুষ। ওরা আমাকে আর গুলজার সাহেবকে বিয়েতেও ডেকেছিল। ইন্ডাস্ট্রি থেকে আর কেউ ওখানে ছিল না।’, আরও যোগ করেন ফরিদা।
আরও পড়ুন: ঘুম ভাঙিয়ে দিয়েছিল বাড়িতে চলা গুলির শব্দ’, পুলিশের কাছে দেওয়া বয়ানে আর কী কী জানালেন সলমন