৬০-এ এসে তৃতীয় সম্পর্কের কথা ঘোষণা করেছেন আমির খান। কিন্তু জানেন কি রিনা দত্তের সঙ্গে বিচ্ছেদের সময় যখন বুঝতে পারছিলেন যে সংসার ভাঙার মুখে দাঁড়িয়ে তখনও ম্যারেজ কাউন্সিলরের সাহায্য নিতে চাননি মিস্টার পারফেকশনিস্ট। কেন?
আরও পড়ুন: বাগদান সারলেন 'ডাইনি'র পরিচালক নির্ঝর! পাত্রী কে? কবেই বা সাতপাক ঘুরবেন?
আরও পড়ুন: কথা দিয়েও অপুর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে আসবে না আর্য! কোন দিকে বাঁক নেবে দুজনের সম্পর্ক?
কী জানিয়েছেন আমির খান?
সম্প্রতি পিঙ্কভিলাকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে আমির খান জানিয়েছেন কোনও অপরিচিত কাউকে নিজের ব্যক্তিগত জীবনের কথা বলতে চাননি তিনি। তাই বিয়ে ভাঙতে বসেছে জেনেও ম্যারেজ কাউন্সিলরের সাহায্য নিতে চাননি আমির।
মিস্টার পারফেকশনিস্ট জানান, 'আমি যখন প্রথমবার যাই ওটা আর যাই হোক থেরাপি তো ছিল না। ওটা অনেক বেশি কাউন্সেলিং ছিল। যখন আমি আর রিনা আলাদা হচ্ছিলাম তখন আমরা প্রায় দেড় বছর একজন ম্যারেজ কাউন্সিলরের কাছে গিয়েছিলাম। ওটাই আমার প্রথম অভিজ্ঞতা ছিল থেরাপি, কাউন্সেলিং নিয়ে।'
আমির খান এদিন আরও জানান, ' আমার মনে আছে আমি ওই সময় বিষয়টার বিরোধিতা করেছিলাম। আমি রিনাকে বলেছিলাম যে আমার কোনও অচেনা মানুষকে বলার দরকার নেই আমার মনে কী চলছে, আমার তোমার সম্পর্ক কী কেমন। আমি কোনও অচেনা পরিচয় ব্যক্তির সামনে কী করে নিজের মনে কী চলছে সেটা কী করে বলে দিই?'
তবে আমির রাজি না থাকলেও রিনা তাঁকে বুঝিয়ে রাজি করান। যদিও বিষয়টার পর এটা নিয়ে ভাবনা চিন্তা একেবারেই বদলে যায় আমিরের।
আরও পড়ুন: 'ওদের একটাই কথা বলতে চাই...' পহেলগাঁও হামলার পর সন্ত্রাসবাদীদের উদ্দেশ্যে কড়া বার্তা অক্ষয়ের!
প্রসঙ্গত ১৯৮৬ সালে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন আমির খান এবং রিনা দত্ত। তাঁদের দুই সন্তান জুনায়েদ খান এবং ইরা খান। কিন্তু ২০০২ সালে তাঁরা আলাদা হতে যান। এরপর ২০০৫ সালে কিরণ রাওকে বিয়ে করেন আমির। ২০২১ সালে সেই সম্পর্কেও ইতি টানেন আমির। তাঁদেরও একটি ছেলে, আজাদ। সদ্যই ৬০ বছরের জন্মদিনের ঠিক মুখে নতুন সম্পর্কের কথা প্রকাশ্যে এনেছেন মিস্টার পারফেকশনিস্ট।