এই বিধানসভায় এবারের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হলেন তিলক চক্রবর্তী। এই আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বিজেপি প্রার্থী বিশ্বনাথ বন্দোপাধ্যায়। অন্যদিকে, বাম-কংগ্রেস-ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের (আইএসএফ) তরফে এই কেন্দ্রে দাঁড়াচ্ছেন আইএসএফের বিক্রম চট্টোপাধ্যায়।মেদিনীপুর বিভাগের একটি জেলা পূর্ব মেদিনীপুর। এই জেলার উত্তরে হাওড়া জেলা রয়েছে। পূর্বে হুগলি নদী ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা। আরও দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর এবং পশ্চিমে পশ্চিম মেদিনীপুর ও ওড়িশা অবস্থিত। তমলুক এই জেলার একটি বিধানসভা কেন্দ্র। আগামী ১ এপ্রিল তমলুকে ভোটগ্রহণ হবে। মহিষাদল এই জেলার একটি বিধানসভা কেন্দ্র। আগামী ১ এপ্রিল মহিষাদলে ভোটগ্রহণ হবে।২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী সুদর্শন ঘোষদস্তিদার জয়ী হয়েছিলেন৷ তাঁর প্রাপ্ত ভোট ছিল ৯৪,৮২৭৷ দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন কংগ্রেসের সুব্রত মাইতি৷ তাঁর প্রাপ্ত ভোট সংখ্যা ৭৮,১১৮৷ তৃণমূলের প্রার্থী সুদর্শন ঘোষদস্তিদার তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেসের সুব্রত মাইতিকে ১৬,৭০৯ ভোটে পরাজিত করেছিলেন। ২০১১ সালের নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের সুদর্শন ঘোষ দস্তিদার সিপিআইএমের তমালিকা পণ্ডা শেঠকে পরাজিত করেছিলেন।২০০৬ সালের রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনে সিপিআইএমের তমালিকা পণ্ডা শেঠ মহিষাদল কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছিলেন। তৃণমূল কংগ্রেসের বুদ্ধদেব ভৌমিককে পরাজিত করেছিলেন। ২০০১ সালে তৃণমূল কংগ্রেসের দীপককুমার ঘোষ সিপিআইএমের সুব্রত মাইতিকে পরাজিত মহিষাদল। ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালে কংগ্রেসের সুকুমার দাস সিপিআইএমের সূর্য চক্রবর্তীকে পরাজিত মহিষাদল। ১৯৮৭ সালের নির্বাচনে সিপিআইএমের সূর্য চক্রবর্তী কংগ্রেসের সুকুমার দাসকে পরাজিত মহিষাদল। ১৯৮২ সালে সিপিআইএমের দীনবন্ধু মণ্ডল কংগ্রেসের রমনীমোহন মাইতিকে ওই আসন থেকে হারিয়েছিলেন। ১৯৭৭ সালে জনতা পার্টির শাশ্বতী বাগ সিপিআইএমের দীনবন্ধু মণ্ডলকে মহিষাদল আসনে পরাজিত করেছিলেন। ১৯৭২ সালে কংগ্রেসের অহিন্দ্র মিশ্র জয়ী হয়েছিলেন।১৯৬৭, ১৯৬৯ ও ১৯৭১ সালের নির্বাচনে টানা তিন বার জয়ী হয়েছিলেন কংগ্রেসের সুশীলকুমার ধাড়া। তিনি ১৯৬২ সালে কংগ্রেসের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। তার আগে ১৯৫৭ সালে মহিষাদল যৌথ আসন ছিল। পিএসপির প্রফুল্লচন্দ্র ঘোষ ও কংগ্রেসের মহতবচন্দ্র দাস উভয়ই ওই যৌথ আসনে জয়ী হয়েছিলেন। ভারতের প্রথম নির্বাচনে নির্দল প্রার্থী কুমার দেবপ্রসাদ গার্গ মহিষাদল কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছিলেন।