আমাদের কাছে যে খবর আছে, তাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পদত্যাগের তোড়জোড় করছেন। কারণ এই চুরির মক্ষীরানির পক্ষে আর সম্ভব নয় এই রাজ্য চালানো। তিনি একজন চুরির রানি হিসাবে পরিচিত হয়ে গেছেন, বলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়
Ad
ভোট মিটলেই পদ ছাড়বেন মমতা, মুখ্যমন্ত্রী হবেন তাঁর নিকটাত্মীয়, দাবি অভিজিৎ গাঙ্গুলির
লোকসভা নির্বাচনের পর কি রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী বদল অবধারিত? তেমনই ইঙ্গিত দিলেন তমলুক কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। শনিবার এক সভায় তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী পদত্যাগ করে নিকটাত্মীয়কে সেই চেয়ারে বসানোর পরিকল্পনা করছেন। তবে এই নিয়ে তৃণমূলের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
এদিন অভিজিৎবাবু নাম না করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র আক্রমণ করেন। বলেন, ‘আমরা বুঝতে পেরেছি যে বিজেপি অন্তত পক্ষে ২৫টা আসন পশ্চিমবঙ্গে পেতে চলেছে। এখবর শুধু আমরা নয়, রাজ্যের গোয়েন্দা দফতর নিঃসন্দেহে নির্লজ্জ নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পৌঁছে দিয়েছেন। আমাদের কাছে যে খবর আছে, তাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পদত্যাগের তোড়জোড় করছেন। কারণ এই চুরির মক্ষীরানির পক্ষে আর সম্ভব নয় এই রাজ্য চালানো। তিনি একজন চুরির রানি হিসাবে পরিচিত হয়ে গেছেন। তাকে এখন মুখ্যমন্ত্রী বদল করতেই হবে। আর সেই জায়গায় তিনি একজন চুরির রাজাকে বসিয়ে যাবেন, যিনি তাঁর নিকটাত্মীয়। এভাবে তিনি হিমালয়ে চলে যাবেন, আর বাকি চুরিটা সেই আত্মীয় করবে’।
ওদিকে শনিবার মালদার রতুয়ায় এক জনসভায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে বিজেপি ভালো ফল করলে কয়েক মাসের মধ্যে তৃণমূল সরকার পড়ে যাবে। রাজ্যে নতুন করে বিধানসভা নির্বাচন হবে।
বিজেপি - তৃণমূলে জোর টক্কর
এবারের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির সঙ্গে তৃণমূলের টক্কর যে সমানো সমানে তা মেনে নিয়েছেন তৃণমূল নেতারাও। তাই প্রচারে কোনও কসুর করছেন না তাঁরা। সরকারি প্রকল্প তুলে ধরে মানুষের মন জিততে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছেন তৃণমূল প্রার্থীরা। পালটা বিজেপির হাতিয়ার দুর্নীতি, কর্মসংস্থানের অভাব ও সন্দেশখালির ঘটনা।
সম্প্রতি তৃণমূলের অন্দরে নবীন ও প্রবীণ নিয়ে দ্বন্দ শুরু হয়। নবীনদের সুযোগ দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেন দলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দলের অবসরের সীমা নির্ধারণের পক্ষে সওয়াল করেন তিনি। এর জেরে দলে কোণঠাসা হয়ে পড়েন ববি হাকিম, সৌগত রায়ের মতো প্রবীণপন্থীরা। সূত্রের খবর, অভিষেকের প্রবীনদের বাদ দেওয়ার তত্ত্বে পুরোপুরি সহমত নন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি মনে করেন, কেউ কর্মক্ষম থাকলে তাকে জোরে করে অবসর গ্রহণ করানো ঠিক নয়।