আজ, মঙ্গলবার সকাল থেকে শুরু হয়েছে তৃতীয় দফার লোকসভা নির্বাচন। আর এই সকাল থেকেই নানা অভিযোগ আসতে শুরু করেছে। ইভিএম খারাপের অভিযোগ বেশি আসতে শুরু করেছে। তার সঙ্গে বোমাবাজি এবং মারধর তো আছেই। সুতরাং সকাল থেকেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্র। এই আবহে আবার ভোট বয়কট করে অনশন শুরু হয়েছে মালদায়। এখানের এলাকায় কোনও উন্নয়ন হয়নি। তাই ভোট না দিয়ে গ্রামের মহিলারা অনশনে বসলেন। যতক্ষণ ভোট চলবে ততক্ষণ তাঁরা অনশন চালিয়ে যাবেন বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বুথে ভোট কর্মীরা রয়েছেন, কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং রাজ্য পুলিশ রয়েছেন। কিন্তু এলাকার কেউ ভোট দেবেন না।
এদিকে আজ সকালেই চারটি কেন্দ্রে সকাল ৮টা পর্যন্ত ৬০টির বেশি ইভিএম খারাপের অভিযোগ উঠেছে। তার মধ্যে বেশিরভাগ অভিযোগ এসেছে মালদা দক্ষিণ এবং জঙ্গিপুর থেকে। এলাকায় উন্নয়নের দাবিতে বুথের সামনেই আজ সকালে দেখা গেল, হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে অনশনে বসেছেন গ্রামের মহিলারা। হবিবপুর ব্লকের মঙ্গলপুরা গ্রাম পঞ্চায়েতের ১২২ নম্বর বুথে এমন ছবি ধরা পড়ল। ১৩৮১ জন ভোটার আজকে ভোট দিচ্ছেন না। এই ঘটনায় আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। কারণ এই নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের ইস্যু উন্নয়ন। তবে মালদা লোকসভা আসন বিজেপি এবং কংগ্রেসের দখলে রয়েছে। এবার সেখানে কেমন ফল হয় সেটাই দেখার।
আরও পড়ুন: তৃতীয় দফার ভোট শুরু হতেই ইভিএম খারাপ–বোমাবাজি–মারধর, তপ্ত মুর্শিদাবাদ
অন্যদিকে এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে মালদায়। আর তাই ঘটনাস্থলে এসেছেন হবিবপুরের সেক্টর অফিসার। এলাকার মানুষের দাবি, রাস্তাঘাট, সেতু, এলাকার উন্নয়ন না হলে ভোট তারা দেবেন না। তাই তাঁরা আজকে বুথের সামনেই অনশন শুরু করলেন এবং তা চালিয়ে যাচ্ছেন। এই আবহে মালদা জেলা স্কুলে মডেল বুথ পরিদর্শনে যান মালদা দক্ষিণের বিজেপি প্রার্থী শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী। যদিও এই অনশন নিয়ে কোনও কথা বলেননি তিনি। বরং পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়ালেন। ইংরেজবাজার শহরের ঝলঝলিয়া শিশু নিকেতন প্রাথমিক স্কুলে বুথের মধ্যে ভোটারদের সঙ্গে কথা বলছেন পুলিশ কর্মী এই অভিযোগ তুলে শ্রীরূপা বলেন, ‘ভোটারদের সঙ্গে কথা বলা পুলিশের কাজ নয়।’ কর্তব্যরত বিএসএফ জওয়ানকে ধমক দেন তিনি।