এই ঘটনা প্রসঙ্গে পার্টির এরিয়া কমিটির সম্পাদক জয়ন্ত মজুমদার বলেন, 'আমাদের জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রের ১২৪ নং বুথের সিপিএম কর্মী ছিলেন প্রদীপ দাস। তিনি সকাল থেকেই বুথে বসে পার্টির কাজ করছিলেন। আচমকা তিনি অসুস্থ বোধ করেন। দলের কর্মীরা তখন তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। তখন কিছু শারীরিক পরীক্ষা হয় তাঁর। তারপর তিনি প্রয়াত হন। তাঁর বাড়িতে এখন এক ছেলে আর তাঁর স্ত্রী আছেন। তাঁর দুই মেয়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। তিনি সবজি বিক্রির ব্যবসা করতেন। তাঁর মৃত্যুতে সেই বুথে পার্টির বড় ক্ষতি হল। তিনি আমাদের একনিষ্ট কর্মী ছিলেন। গতকালও প্রায় রাত ১টা পর্যন্ত তিনি বুথে কাজ করেন। এমন এক কর্মীর মর্মান্তিক মৃত্যু নিয়ে বলার কোনও ভাষা নেই।' এই কথা বলতে বলতে কেঁদে ফেলেন জয়ন্তবাবু। (আরও পড়ুন: মণিপুরে বুথে গুলি, ভোট হিংসার সাক্ষী অরুণাচল)
এর আগে আজ সকালেই মাথাভাঙায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। রিপোর্ট অনুযায়ী, মৃত জওয়ানের নাম নীলেশকুমার নীলু। বয়স ৪২ বছর। তিনি বিহারের বাসিন্দা। কোচবিহারের মাথাভাঙায় সিআরপিএফ জওয়ানের রহস্যমৃত্যু নিয়ে পুলিশ জানাচ্ছে, ভোটকেন্দ্রেই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন নীলেশকুমার। আচমকা নাক-মুখ থেকে রক্ত বের হতে শুরু করে সেই জওয়ানের। পরে তাঁকে মাথাভাঙা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। তাঁর দেহের ময়নাতদন্ত হবে বলে জানায় পুলিশ।